Wednesday, July 6, 2016

সাজেকের পথে
যেই পথের বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে আছে স্বর্গীয় সুন্দরজ ।
সাজেক এমন একটি যায়গা যেখানে ভাগ্য ভাল হলে ২৪ ঘণ্টায় আপনি প্রকৃতির তিনটা রূপ দেখতে পারবেন ।কখনো খুবি গরম একটু পরেই হটাৎ বৃষ্টি এবং তার কিছু পরেই হয়ত চারদিকে ঢেকে যাবে কুয়াশার চাদরে । রাতে এই দুর্গম পাহাড়ের চুড়ায় যখন সোলারের কল্যাণে বাতি জ্বলে উঠে তখন সৃষ্টি হয় অসাধারণ এক পরিস্থিতি । অনেক বাচ্চারা রোড লাইটের নিচে বই নিয়ে বসে পড়ে অথবা ঐ টুকু আলোর ভিতরেই খেলায় মেতে উঠে ।সাজেকে ৩টা হ্যালি প্যাড আছে ৩টার সুন্দরজ তিন রকম । এছাড়া রুইলুই পারা হতে হেটে আপনি কংলক পারা পর্যন্ত যেতে পারেন এই পারাটিও অনেক সুন্দর এবং অনেক উচুতে অবস্থিত ।যারা ট্র্যাকিং পছন্দ করেন তারা কমলক ঝর্না ঘুরে আসতে পারেন রুইলুই পাড়া থেকে গাইড নিয়ে ৩ ঘণ্টার মত লাগতে পারে। কমলার সিজনে কমলা খেতে ভুলবেন না । সাজেকের কমলা বাংলাদেশের সেরা কমলা । বাংলাদেশ আর্মিদের দারা রুইলুই পারার অধিবাসীদের জন্য একটা ছোট তাত শিল্প গরে তোলা হয়েছে । সুন্দর সুন্দর গামছা ,লুঙ্গী পাওয়া এখানে ।
যেই প্লেস গুলাতে অবশ্যই যাবেনঃ
১/হ্যালিপ্যাড ৩টির সবগুলো । ১ নং হ্যালিপ্যাড থেকে সূর্য উদয় দেখতে ভুলবেন না ।
২/রক পার্ক
৩/ মন্দির
৪/কংলাক পাড়া ( স্কুল পর্যন্ত)
৫/রুই লুই পাড়ায় যে স্থানটিতে সবাই গোসল করে ।।
৬/ সিকাম তইসা ঝর্ণা ।।
৭/রুন্ময় এবং রক অফ সাজেক ।
৮/ রুইলুই পাড়া তে একটা এডভেঞ্চার ট্রেইল আছে আর্মিদের বানানো ঘুরে দেখতে পারেন ।
দীঘিনালা থেকে আসতে হাজাছরা ঝর্ণা দেখতে ভুলবেন না ।।
অবস্থান- সাজেক, বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
যাতায়াতঃ সাজেক রাঙ্গামাটিতে পরলেও খাগড়াছড়ি হয়ে যাতায়াত সুবিধা ।
যারা খাগ্রাছরি হয়ে আসবেনঃ
ঢাকা-টু খাগ্রাছরি আসবার জন্য ইকনো, ইউনিক শ্যামলি,শান্তি পরিবহন,এস-আলম,সেন্টমারটিনপরিবহনের বাস রয়েছে ।
খাগ্রাছরি থেকে সরাসরি চাঁদের গাড়ি নিয়ে সাজেক যেতে পারেন । এছাড়া
খাগ্রাছরি থেকে দিঘিনালা পরজন্ত বাস/চাদের গারি/ সিএঞ্জি রয়েছে । বাসে অ চাদের গারিতে ভারা ৪৫/- জনপ্রতি ।দিঘিনালা থেকে জন ভেদে চাদের গারি অথবা মটর বাইক নিতে পারেন । একদিনের জন্য চাদের গারি ভারা পরবে ৩৫০০/- টাকা ২দিনের জন্য ৫৫০০/- ( কথা বলে নিতে হবে )১৪ জন জেতে পারবেন একটি গাড়িতে ।।এছারা মটর বাইক রয়েছে আপডাউন ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে আর সি এন জি ২৫০০/- টাকার মধ্যে পেয়ে জাবেন এবং চাদেঁর গাড়ি ভাড়া জনপ্রতি ৩২০/-টাকা। মটরবাইক একটু রিস্কি ২/৩ বার নামতে হয় ।
অথবা শান্তিপরিবহণের বাসে সরাসরি বাঘিহাট ( বাঘাইছরির হাট) নেমে যাবেন । এইখান থেকে কম মূল্যে চাঁদের গাড়ি ভারা পাবেন সাজেক এর জন্য।
ঢাকা থেকে খাগ্রাছরি বাস ভারা ৫২০/- । ঢাকা থেকে দীঘিনালা/বাঘিহাট শান্তি পরিবহনের ভারা ৫৮০/-
ইকনো এই লাইনে ভাল সার্ভিস দিচ্ছে ।।
যারা রাঙ্গামাটি হয়ে আসবেনঃ
রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে লঞ্চযোগে অথবা সড়কপথে বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০-২৫০ টাকা। সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা। বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭.৩০ থেকে ৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে বাস ছাড়ে, ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা। সময় লাগে ৬-৭ ঘন্টা। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া সম্ভব।
নোটঃ বাঘিহাট বাঁজার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০ টা এবং দুপুর ২.৩০ এ আবাংলাদেশ আর্মির স্কোয়াট সাজেক নিয়ে যায় । এবং সাজেক থেকে প্রতিদিন সকাল ১০.৩০ এ ফিরে আসে । কাজেই এইটা টাইমের সাথে মিলিয়ে আপনার প্লান করবেন ।
যেখানে থাকবেনঃ
মেঘ মাচাংঃ ৬ জনের জন্য প্রতি রুম ৩০০০ টাকা। বুকিং ,শাহিন কামালঃ- ০১৮২২১৬৮৮৭৭ ।
নিরিবিলিঃ ৬ জনের জন্য হলে ২৫০০ করে এবং ডাবল রুম ১৫০০ করে। বুকিং, ওপু দা ০১৮৬৬০৩৫৮২৫ ।
জলবুকঃ ডাবল রুম ২৫০০ করে । বুকিং ,হ্যাপিং দাঃ ০১৮২০১৮০৭৫০ ।
হাপং টংঃ এদের সিঙ্গেল এবং ডাবল রুম আছে সিঙ্গেল ১২০০ টাকা আর ডাবল ১৮০০ টাকা ।বুকিং (অনিন্দ্য দা)ঃ
রুইলুই ক্লাব হাউজ ( ১৩ জনের জন্য ২০০০/- টাকা) বুকিংঃ ০১৮৭৪২০৯৪৫৩ নাইজুয়েলা ।
ইমানুয়েল (ডাবল বেট ৭০০ টাকা ) । বুকিং ০১৮৬৫৩৪৯১৩০ মারুতি দি ।।
এবং alo-রিসোরট( ডাবল ১২০০/- সিঙ্গেল ৭০০/- গ্রাউন্ড ফ্লোর ২৫০/- টাকা জন প্রতি । গ্রাউন্ডে ৮/৯ জন থাকা যায় ।
বুকিং ইন্দ্রজিৎ দাঁ - ০১৮৬৩৬০৬৯০৬ -alo-রিসরট) এই ৩টির যে কোন একটিতে কম খরচে থাকতে পারেন ।
অথবা গাড়িওয়ালাকে বললে স্থানীয় কারো বাসায়ও থাকার ব্যাবস্থা করে দিতে পারেন অথবা আমার বন্ধু লোক কেরিংদাঁ রে ফোন দিতে পারেন রুম ঠিক করে দেবে । মবাইলঃ০১৮৬৯৪৯০৯৮৪ ।।এই ক্ষেত্রে গ্রুপে ছেলে কয়জন আর মেয়ে কয়জন যাচ্ছে তার সঠিক ইনফো সবসময় দেবেন তা না হলে আসন নিয়ে সমস্যায় পরতে পারেন ।। । মুটা মুটি ২৫০০/- টাকা হলে ৭/৮ জনের জন্য বাসা পাওয়া যায় ।
স্টুডেন্টদের জন্য অর্থাৎ জাদের থাকবার জন্য মটামূটি একটা ব্যাবস্তা হলেই হয় তারা রুইলুই-ক্লাব হাউজে থাকতে পারেন । এর সামনে ফাকা কিছু জায়গা আছে । রাতে বারবি কিউ/গানবাজনা অরথাত মজা করার জন্য উপজুক্ত । প্রয়জনিও মশলা পাতি ঢাকা থেকে আর মুরগি দীঘিনালা থেকে নিয়ে যাবেন । কেরিং দাঁ কে ৪০০ টাকা দিলে উনি বারবিকিউ করে দেয় ।।
এছারা বাংলাদেশ আরমি নিয়ন্ত্রিত "সাজেক রিসট" ০১৭৬৯৩০২৩৪৪ এবং বিজেবি নিওন্ত্রিত অত্যাধুনিক রিসট "রুন্ময়"http://rock-sajek.com/ ২টা তেই আয়েস করে থাকা যাবে।২টা রিসোর্ট এর মধ্যে রুন্ময় তা আমার বেশী ভাল লেগেছে কারন এইখানে নির্জনতা বেশী পাওয়াজাবে ।
খাবার ব্যাবস্থাঃ
খাবার ব্যাবস্তার জন্য পূর্বেই যোগাযোগ করে নিতে পারেন। মানুষ কম হলে অইখানে গিয়েও করতে পারেন।
এখন প্রচুর ট্যুরিস্ট যায় তাই আগে না বলে রাখলে খাবার পেতে অনেক সময় নষ্ট হবে ।
আলো রিসোর্টঃ খরচ ভাত +ডাল+ সবজি+মান্স=২৫০ টাকা আর সকালের খিচুরি ৭০/৮০ টাকা।
মারুতি দি এর রেস্ট্যুরেন্টে ভাত +ডাল+ সবজি+মান্স ১৫০ টাকা করে নেবে ।
রক প্রশান্তিঃ ভাত +ডাল+ সবজি+মাংস=৩২০/টাকা ভাত +ডাল+ আলু ভরতা+ডিম ভাজি=১২০ টাকা ।
রিসরটের তত্যাবধানে জিনি আছেন তিনি ব্যাবস্তা করতে পারেন ।
সব চেয়ে ভাল হয় জস্না রাতে সাজেক থাকলে । বিলিভ মি অসাধারন জায়গা ।
ট্যুর প্লানঃ
১/#রাতের বাসে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি।
খাগরাছড়ি এসে দীঘিনালা পর্যন্ত চাঁদের গাড়ি/বাসে করে আসতে হবে এর পর মটরসাইকেল অথবা চাঁদের গাড়ি/সি এন জি ভারা নিয়ে সোজা সাজেক।অথবা খাগ্রাছরি থেকে ২ দিনের জন্য চাঁদের গাড়ি ভারা নিয়ে নেবেন ।পথে যাবার সময় হাজাছরা ঝরনা ঘুরে যাবেন ।এর পর সাজেক এসে রুম চেকিন দিয়ে খাবাররের ব্যাবস্থা করে ফেলবেন । দুপুরে খেয়ে রেস্ট নিয়ে ৩.৩০ এই কংলাক পাড়া থেকে হেটে আসবেন। । ২ঘণ্টা সময় লাগতে পারে । ।পরদিন সকালে হ্যালিপ্যাড-১ থেকে সূর্য উদয় দেখে কালি মন্দির চলে আসবেন । এখান থেকেও অনেক সুন্দর ভিও পাওয়াজায়। নাস্তা সেরে সিকাম তইসা হেটে আসলেন ফিরতে ফিরতে ১ টা বেজে যাবে রেস্ট নিয়ে খেয়ে খাগ্রাছরির উদ্দেশ্যে রউনা হয়ে জাবেন ।।এর পর ঢাকা ।।
২/#রাতের বাসে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি।
খাগড়াছড়ি এসে দীঘিনালা পর্যন্ত চাঁদের গাড়ি/বাসে করে আসতে হবে এর পর মটরসাইকেল অথবা চাঁদের গাড়ি/সি এন জি ভারা নিয়ে সোজা সাজেক।অথবা খাগ্রাছরি থেকে ২ দিনের জন্য চাঁদের গাড়ি ভারা নিয়ে নেবেন ।পথে যাবার সময় হাজাছরা ঝরনা ঘুরে যাবেন ।এর পর সাজেক এসে রুম চেকিন দিয়ে খাবাররের ব্যাবস্থা করে ফেলবেন । দুপুরে খেয়ে রেস্ট নিয়ে ৩.৩০ এই কংলাক পাড়া থেকে হেটে আসবেন।২ঘণ্টা সময় লাগতে পারে । ।পরদিন সকালে হ্যালিপ্যাড-১ থেকে সূর্য উদয় দেখে কালি মন্দির চলে আসবেন । এখান থেকেও অনেক সুন্দর ভিও পাওয়াজায়। নাস্তা সেরে খাগ্রাছরির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাবেন ।দুপুরে খাবার খাগ্রাছরি বাজারে মনটানা রেস্ট্যুরেন্টে খেতে পারেন।এর পর রিচাং ঝর্ণার উদ্দেশ্যে বের হয়ে জাবেন । রিচাং ঘুরে আলু টিলা, মন্দির এবং তেরাং দেখে খাগ্রাছরি বাজার ।।
এর পড় ঢাকা ।।
৩/#রাতের বাসে, ঢাকা – দীঘিনালা ।
১ দিনঃ দীঘিনালা তে সকালের নাস্তা সেরে হাজারা ঝর্ণা দেখে এরপর- বাঘিহাট– সাজেক - আলো রিসোর্ট অথবা যে কোন একটি ।২দিনঃ সাজেক – দীঘিনালা – তৈদুছড়া ১ ও ২ ঝর্ণা -ঢাকা ।অথবা সাজেক- খাগড়াছড়ি-আলুটিলা কেভ এবং রিসাং ঝর্ণা-- খাগড়াছড়ি সিস্টেম রেস্তরাতে রাতের খাবার খেয়ে- ঢাকা ।(রাতের বাসের টিকিট পূর্বে নিয়ে নিবেন। ).....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
-ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি বাস ভারা ৫২০ টাকা। দীঘিনালা/বাঘিহাট ৫৮০ টাকা। আলু টিলা থেকে খাগড়াছড়ি বাস ৫/১০ টাকা ,সি এঞ্জি তে ১৫০ টাকা / অটতে ১২০ টাকা /। খাগড়াছড়ি থেকে দিঘিনলা ৪৫ টাকা । এখনা থেকে মোটর সাইকেল একদিনের জন্য ৮০০ থেকে ১০০০ আর এক রাত থাকলে ১২০০ থেকে ১৫০০ নেবে ।আর জিপ ৫৫০০ টাকা একদিন থাকলে । খাবার ২৫০ টাকা দুপুর/রাতের মিল ,সকালে ৬০/৭০ টাকা ।রাতে আলো-রিসোর্টে থাকতে জন প্রতি ৭০০টাকা ,ডাবল ১২০০ টাকা। আর ইমানুয়েল ডাবল ৭০০ টাকা ।কংলাক/কমলক/পিদাম তৈসা ঝর্ণা যেতে গাইড কে দিতে হবে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা এই হল খরচ ।
কিছু প্রয়জনিয় নাম্বারঃ
সাজেকের হেডম্যানঃ লাল তাঙ্গা লুসাই ০১৫৫২৭২৬৯৮৭ ।
সেন্টমারটিন পরিবহনঃ০১৭৩২৪০৬৩৫২, ০১৭৬২৬৯১৩৪০ ।শ্যামলি পরিবহনঃ০১৮১৫২৭৩৯৪২,০২৯০১৪৫৬০ ।
চাদের গাড়িঃ খাগ্রাছরি থেকে, জামান ভাই ০১৮৪৫৭৬৪০৪৮ ।
দীঘিনালা থেকেঃ জামাল ভাই ০১৮৭৮২০০৭৮৯, সমীর দাঁ -০১৫৫৪৯৪৯৫৩৮,শপন দা -০১৫৫৬৭৭১৮৬৮।।
যে কাজ গুলি করবেন নাঃ
- যাত্রা পথে বাচ্চাদের চকলেট বিলানো । এই কাজ টা এইজন্য করবেন না কারন ২টি গাড়ি পাশাপাশি থাকলে আপনার গাড়ির থেকে ছিটানো চকলেট নিতে তারা রাস্তার মাঝখানে চলে আসে এবং সেই সময় পিছনের গাড়ির সাথে এক্সিডেন্টের ভয় থাকে । এমন হয়েছেও । আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে পরলে অপমান হতে পারেন । এখন খেয়াল করলে দেখবেন প্রতিটা বাচ্চা হাত নারে ,ঢিল ও ছুড়ে কারন একটাই চকলেট । আমারা প্রতিনিয়ত তাদের অভ্যাস খারাপ করছি ।
- পাহাড়িদের পোশাক আমাদের মত নয় আপত্তিকর কিছু হলে অযথা তাকিয়ে হাসা-হাসি করবেন না ।
- তারা মুখের কথা খুবই বিশ্বাস করে । তাই তাদের বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করবেন ।।


No comments:

Post a Comment