Friday, September 23, 2016

পানাম সিটি সোনার গাঁ

গুলিস্থান থেকে মোগড়া পাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত বাস আছে। সার্ভিস অনুযায়ী জনপ্রতি ভাড়া ৩০ থেকে ৪৫ টাকা। স্পেশাল বাস গুলো ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যায় তাই ভাড়া একটু বেশি হলে ও সময় কম লাগে । মোগড়া পাড়া থেকে সোনারগাঁও লোকশিল্প যাদুঘর পর্যন্ত অটোরিকশায় জনপ্রতি ভাড়া ১০ টাকা আর সরাসরি পানাম সিটি গেলে ১৫টাকা । সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প যাদুঘরে জনপ্রতি টিকেট ২০ টাকা এবং পানাম নগরীতে জনপ্রতি ১৫ টাকা টিকেট ।

ঘুরতে যাওয়ার আগে যে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন –

আপনার ব্যক্তিগত ক্যামেরা/মোবাইল ফোন নিতে ভুলবেন না, কারণ সেখানে ছবি তোলার জন্য আলাদা করে তেমন ভালো কোন ব্যবস্থা নেই ।
যেহেতু সোনারগাঁও ঢাকা থেকে অনেকটাই নিকটবর্তী, চাইলে বাসা থেকে রান্না করে হটপটে করে খাবার নিয়ে যেতে পারেন । এতে খরচ ও কম হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের ও নিশ্চয়তা পাবেন।

Tuesday, September 13, 2016

ঈদ বন্ধে সবার ভেতর টাঙ্গুয়ার হাওড় যাওয়ার প্রবনতা লক্ষণীয়।ঘোরাঘুরির স্বার্থে টিওবিতে ভালই চোখ রাখা হয়।গত ঈদের বন্ধে যে ক্রেইজটা সিলেটের বিছানাকান্দি বা পান্থুমাইয়ের ব্যাপারে ছিল এই ঈদের বন্ধে সেটা অনেকটাই শিফটেড টাঙ্গুয়ার হাওড়ের দিকে মনে হল।বাট আমার ক্ষেত্রে এই টাঙ্গুয়া এক্সপেডিশনটা হয়েছিল একটু আনট্র্যাডিশনাল ওয়েতে।টাঙ্গুয়ার হাওড় হয়েই নেত্রকোনার বিরিশিরি পর্যন্ত যাওয়ার রুট প্ল্যান বানিয়ে সে অনুযায়ী ঘুরে এসেছিলাম গত বছর।মূলত সুনামগঞ্জ+নেত্রকোনা+ময়মনসিংহ+জামালপুর+শেরপুর জেলা পাঁচটা ঘুরে ফেলার মিশনের একটা পার্ট ছিল টাঙ্গুয়ার হাওড় ও বিরিশিরি ভ্রমণ।মিশন একমপ্লিশড।বাট টাঙ্গুয়ার হাওড় সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।হাওড়টাকে একটু গভীর থেকে দেখার যাদের ইচ্ছা তাদের জন্য এই রুট।এই বন্ধে ট্রাভেলার্স ভাই ব্রাদার যারা যাচ্ছেন ওইদিকে তাদের সুবিধার্থে তাই রুট প্ল্যান+ট্রিপ ডিটেইলস টা দিয়ে দিচ্ছি(আপ টু টাঙ্গুয়া ও নেত্রকোনা,পোস্টটাকে ইতিহাস না বানানোর স্বার্থে বাকীটা অন্য পোস্টে অন্য কোনদিন https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v5/u20/1/16/1f61c.png😜https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v5/u20/1/16/1f61c.png😜)
শুরুতেই বলে নিচ্ছি এই রুটে হাওড় ঘুরতে গেলে প্ল্যানটা হতে হবে কমপক্ষে তিনদিনের।
দিন-১ (সুনামগঞ্জ-লাউড়ের গড়-বারেকের টিলা-তাহিরপুর)
রাতের গাড়ীতে বাংলাদেশ এর যেকোন প্রান্ত থেকে চলে আসুন সুনামগঞ্জ।হাছন রাজার বাড়ী+জাদুঘরে একটু ঢু মেরে অটোতে ব্রীজের গোড়া(জায়গাটার একচুয়াল নাম মনে নাই,সুনামগঞ্জ শহরে ঢুকতে বিশাল ব্রীজটা চোখে পড়বে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর রোডে)।ওখান থেকে বাইক ভাড়া করতে হবে।আগেই বলে নেবেন লাউড়ের গড় ও বারেকের টিলা দেখিয়ে তাহিরপুর বাজারে নামিয়ে দিতে হবে।বারেকের টিলা জাফলং এর কার্বন কপি।পার্থক্য একটাই,জাফলং এ ট্যুরিস্ট বেশী আর এখানে নাই।টিলার পাশে দিয়েই বয়ে গেছে যাদুকাটা নদী।এ স্পট দুইটা দেখে তাহিরপুর যেতে প্রায় সন্ধ্যা হবে।যাওয়ার রাস্তায় পড়বে শনির হাওড় আর হাওড় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মনভোলানো দৃশ্য।সুর্যাস্তটা শনির হাওড়েও উপভোগ করে যেতে পারেন রাস্তার পাশে বাইক থামিয়ে।
রাতে থাকতে হবে তাহিরপুর ডাকবাংলো বা ইউএনও রেস্টহাউজ।বলাবাহুল্য এর বাইরে থাকার জায়গা নেই।আগে থেকেই বুক করে যাওয়া শ্রেয়।ডাকবাংলো শুনে যদি আহামরি কিছু মনে করেন পস্তাবেন।কোনরকম রাত কাটাতে পারবেন এই যা।
দিন-২(টাঙ্গুয়ার হাওড়-বাগলী-মধ্যনগর)
সকালে উঠে নৌকা ভাড়া করে ফেলুন।পুরো হাওড় ঘুরিয়ে রাতে মাঝ হাওড়ে থেকে পরদিন সকালে নেত্রকোনা নিয়ে ফেলতে হবে(https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v5/u4f/1/16/1f601.png😁) এই কথা বললে মাঝি ভালই পিছটান দিবে।আমার টার্গেট ছিল নেত্রকোনার কলমাকান্দা পর্যন্ত যাওয়ার।রাজি হয়নাই ভাল অংকের ভাড়া সাধার পরেও।মধ্যনগর পর্যন্ত রাজি হয়েছিল(এটা কলমাকান্দা উপজেলার একটা ডাকঘর)।এর বেশী ওরা সাধারণত যায় না।অতটুকুই ঠিক করে ফেলতে পারেন।দুপুরে+রাতে খাওয়ার ব্যাবস্থা হাওড়ের ভেতরেই কোন গ্রামে মাঝিই ম্যানেজ করে দিবে।আমাদের একবেলাতেই হয়ে গেসিল।।হাওড়ের সৌন্দর্য দেখেই পেট ভরপুর হওয়াতে ক্ষিধা টের পাইনি https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v5/u51/1/16/1f603.png😃।নৌকায় উঠার আগে শুকনা খাবার নিয়ে নিবেন প্রচুর পরিমানে।শুরুতেই চলে যাবেন ওয়াচ টাওয়ার।বেশী সময় টাওয়ারে না কাটিয়ে লাইফ জ্যাকেট থাকলে পাশেই পানিতে দাপাদাপি করে নিতে পারেন সময় নিয়ে।তারপর নৌকায় চড়ে বসে রওনা দিন মধ্যনগর অভিমুখে।মেঘালয়ের পাশ ঘেষে যতই হাওড়ের গভীরে যতই ঢুকবেন ততই মুগ্ধতা আপনার জন্য অপেক্ষা করবে।চলার পথেই পড়বে ছোট ছোট গ্রাম।আমরা নৌকা ভিড়িয়েছিলাম বাগলী গ্রামের তীরে।সীমান্তবর্তী একটা ছোট গ্রাম।খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত হয়েছিল গ্রামেরই বাজারের এক হোটেলে।বাগলী গ্রাম পর্যন্ত অনেক ট্যুরিস্টই যায়।সেইফটি ইস্যুতে ওখানেই রাত কাটাতে পারবেন।বাট আমার মত "মাঝ হাওড়েই হিজল গাছে বাধা নৌকায় দুলতে দুলতে আকাশের চাঁদ না দেখতে পারলে জীবনটাই বৃথা" এই নীতিতে অটল থাকলে পেটপূজো+সূর্যাস্ত অবলোকন শেষে গ্রাম ত্যাগ করতে পারেন।আমাদের নৌকা রাতেও ঘন্টাখানেক চালিয়ে মধ্যনগরের কাছাকাছি কোন এক জায়গায় হিজল গাছে বাঁধা ছিল সারারাত।রাতের হাওড় কেমন সেটা নিয়ে কথা বাড়ালে পোস্ট শেষ হবে না।খালি এটা কল্পনা করে নিন এক পাশে মেঘালয়ের পাহাড়,আরেকপাশে বিস্তীর্ণ জলরাশি,হাওড়ের স্বচ্ছ জলে চাঁদের আলোর প্রতিফলন এই তিনে মিলে ভিউটা কেমন হতে পারে,বাকীটা স্বচক্ষেই না হয় দেখে নেবেন
দিন-৩(মধ্যনগর-কলমাকান্ধা-দুর্গাপুর-বিরিশিরি-সোমেশ্বরী নদী)
খুব ভোরে মধ্যনগর পৌঁছে যাবেন সব ঠিক থাকলে।ওখান থেকে লোকাল ট্রলার ছাড়ে সকাল ৭ টা থেকে কলমাকান্দা পর্যন্ত।সময় লাগবে দুই ঘন্টা।হাওড়ের নেত্রকোনা অংশের শুরু মোটামুটি মধ্যনগরের পর থেকেই।ট্রলার ভর্তি স্কুলের বাচ্চাকাচ্চা,চাকুরীজীবি আর ঘাটে ঘাটে ট্রলার ভেড়া দেখে বুঝতে পারবেন হাওড় অঞ্চলের জীবনযাত্রা কতটা জলপথ নির্ভর।কলমাকান্দা নেমেই বাইক ভাড়া করে চলে যাবেন দুর্গাপুর।২২ কিলো রাস্তা।বিরিশিরিতে পৌঁছে আরেকটা বাইক ভাড়া করে(রাতে গেস্টহাউজে ওঠার প্ল্যান না থাকলে সরাসরি কলমাকান্দা থেকেই ভাড়া করে নিতে পারেন) ঘুরে আসতে পারেন রানীখং গির্জা,সোমেশ্বরী নদী,চীনামাটির লেক,গারো পাহাড়।একদিনেই সব ঘুরে আসতে পারবেন।দিনশেষে রাতের বাস ধরে নিজ গন্তব্য রওনা দিতে পারেন।আর আমার মত বেকার(তৎকালীন) থাকলে+আরো পশ্চিমে সরে আসার ইচ্ছা হলে রাতে গেস্টহাউজে থেকে পরদিন ধোবাউড়া(ময়মনসিংহ),তারও পরদিন শেরপুর হয়ে চলে যেতে পারেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত........
খরচাপাতিঃ-
>সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর বাইক ভাড়া ১০০০-১২০০(বাইক প্রতি)।আমরা ১২০০ দিসিলাম।
>তাহিরপুর ডাকবাংলো রুম ভাড়া ৪০০ টাকা
>নৌকা ভাড়া(ফুল ট্রিপ)-৪৫০০
আমরা মেম্বার তিনজন ছিলাম।নৌকা ১৫ জনের।পকেটের উপর দিয়ে ভালই ঝড় গেসিল।তবে যা দেখেছি তাতে মন ভরে আর টাকার কস্ট ফিল হয়নাই।মেম্বার বেশী হলে নৌকাভাড়া মাথাপিছু ব্যাস্তানুপিক হারে কমবে।
>রাতের খাওয়া-মাথাপিছু ১০০ টাকা।
>মধ্যনগর-কলমকান্দা ট্রলার ভাড়া পার হেড ৮০ টাকা।
>কলমাকান্দা-দুর্গাপুর বাইক ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা।
>বিরিশিরি-চীনামাটির লেক-গারো পাহাড় বাইক ভাড়া ৬০০ টাকা(বাইক প্রতি)
প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বারঃ
শিবলী মাঝি(তাহিরপুর)ঃ০১৭৯২৩২৯৬৩৩
ক্রিপেষ বাবু(তাহিরপুর গেস্টহাউজ)ঃ০১৭২৪৯৬৮১৬১
এর বাইরে যেকোন দরকারে ফোন দিতে পারেন Sworup Chakraborty ভাইকে(ফোন-০১৭৪৬৮৬৩৩৬২)।সুনামগঞ্জেই বাড়ি।অত্যন্ত অমায়িক একজন মানুষ।
ছবিঃবাগলী গ্রামে প্রবেশের মুখে তোলা


Wednesday, September 7, 2016

জেনে নিন কিভাবে কম খরচেই কক্সবাজার, মহেশখালী, হিমছড়ি ও ইনানী ঘুরে আসবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে ভাড়া পড়বে ৭০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকার মধ্যে (নন এসি)। সৌদিয়া, এস আলম , হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, মডার্ন লাইন, শাহ্ বাহাদুর, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন বাসে সব সময় আসা যাওয়া করা যায়। বেশ কিছু ভাল এসি বাস-ও চলে এই রুটে, ভাড়া ১৫০০-২০০০ টাকা । যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে কমলাপুর থেকে উঠতে হবে, চট্টগ্রাম নেমে ওখান থেকে কক্সবাজারের জন্যে বাসে উঠতে হবে, ভাড়া ২৪০ টাকা ।
১ । সকালে গাড়ি থেকে নেমে যেকোনো হোটেলে উঠতে পারেন । ফ্রেশ হয়ে হাল্কা নাশতা করে নেমে যেতে পারেন সমুদ্রে তবে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার ভাঁটার সময় জেনে নিবেন।
২। তারপর হোটেল এ এসে কাপড় পরিবর্তন করে শৈবাল সুইমিং পুল এ যেতে পারেন ।জন প্রতি ১৫০ টাকা লাগবে প্রবেশ মূল্য।
৩। দুপুরের খাবার যেকোনো বাংলা হোটেল থেকেই খেতে পারেন খুবই কম খরচে।
৪। খাবার খেয়ে হালকা রেস্ট নিয়ে চলে যেতে পারেন দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীর উদ্দেশ্যে । ৬ নং ঘাট নামক স্থান থেকে মাত্র ১৫ মিনিট স্পীড বোটে চড়ে যেতে পারেন এই দ্বীপে, ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৭৫ টাকা । মহেশখালী ঘাটে নেমে একটা রিক্সা বা অটো নিয়ে আশেপাশের স্পট গুলো ঘুরে দেখতে পারেন, ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা, অবশ্যই ভাল মত দরদাম করে নিবেন । স্পীড বোটে চড়ার অনুভুতিটার সাথে কোন কিছুর তুলনা হবে না, একবার গিয়েই দেখুন না ।
৫ । সন্ধ্যার আগেই মহেশখালী থেকে ফিরে বাকিটা সময় ব্যয় করতে পারেন কেনাকাটা করার জন্য । কম টাকায় কেনাকাটা করতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে বার্মিজ মার্কেটে ।
৬। রাতের বেলা সমুদ্র পাড়ে বসে কাটাতে পারেন আর শুনতে পারেন সমুদ্রের শো শো গর্জন ।বসে থাকার জন্য চেয়ার ভাড়া করা প্রতি ঘণ্টা মাত্র ৩০ টাকা ।
৭। পরের দিন সকালে সূর্যোদয় দেখতে চাইলে খুব ভোরেই আপনাকে যেতে হবে সমুদ্র পাড়ে।
৮। সকাল বেলার নাশতা টা খুব কম খরচে করতে পারেন যেকোনো বাংলা হোটেল থেকেই । রিটার্ন টিকেট কেটে হোটেলে এসে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তে পারেন হিমছড়ি, ইনানির উদ্দেশে।
তবে যাবার আগে অবশ্যই হোটেল চেক আউট করে যাবেন আর ব্যাগপত্র লবিতে চেক-আউট লাগেজ হিসেবে রেখে যেতে পারেন। ফিরে এসে নিতে পারবেন, এই জন্য আপনাকে কোন অতিরিক্ত টাকা পয়সা দিতে হবে না ।
কক্সবাজার শহর থেকে ইনানীর দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। খোলা জীপ, রিকশা কিংবা ব্যাটারী চালিত রিকশাতে করে সেখানে যাওয়া যাবে। খোলা জীপে গেলে জনপ্রতি ভাড়া ১৫০-১৭০ টাকা পড়বে। রিজার্ভ নিলে এটি পড়বে ১২০০ -১৫০০টাকা।রিকশা করে যেতে হলে ভাড়া লাগবে ৩০০-৪০০ টাকা। আর সি এন জি নিয়ে গেলে আসা যাওয়ার ভাড়া পড়বে ৫০০-৬০০টাকা। সৈকত লাগোয়া আকাশ ছোঁয়া পাহাড় এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন যাওয়ার পথেই।
যাত্রা পথেই কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার আসলেই পাবেন হিমছড়ি । উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ের হিম শীতল ঝরণা।
হিমছড়ি পাড় হয়ে আরও ৮কি.মি গেলেই আপনি পৌছে যাবেন ইনানী, যাকে বলা হয়, মিনি সেন্টমার্টিন। উপভোগ করতে পারবেন বিস্তীর্ণ পাথুরে সৈকত। সমুদ্র থেকে ভেসে এসে প্রচুর প্রবাল বেলাভূমিতে জমা হয়েছে । বিচে চলার উপযোগী চার চাকার বেশ কয়েকটি বাইক সৈকতে চলাচল করে। ১ কিলোমিটার দূরত্বে ভ্রমণ করতে রাউন্ড প্রতি ৫০ টাকা করে দিতে হবে আপনাকে।
কক্সবাজার শহরে ফিরে আপনি হোটেল থেকে ব্যাগ পত্র বুঝে নিয়ে বিকেল এর সময়টা কেনা কাটা করতে পারেন অথবা সমুদ্র পাড়ে চেয়ার ভাড়া করে শেষ সময় টা সূর্যাস্ত দেখতে পারেন গাড়ির সময় এর আগ পর্যন্ত।
ঈদের ছুটিতে সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্টের চাপ থাকে প্রচুর, আর কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে চাপ তো থাকেই । তাই আগেভাগেই বাসের টিকেট, হোটেল বুকিং ও শীপের টিকেট বুকিং দিয়ে গেলে ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া, অযথা দৌড়াদৌড়ি করতে হয়না । বিশেষ করে শিপের টিকেট টা আগে থেকে বুকিং দিয়ে না গেলে আপনি টেকনাফ গিয়ে পাবেন কিনা শিউর না কারণ শীতকালে প্রতিদিন ৪-৫ টা শিপ গেলেও এই ঈদের সময় মাত্র ২ টি শিপ সেন্টমার্টিন যাবে ।
বাসের টিকেট, রেন্ট এ কার, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে হোটেল/রিসোর্ট এবং টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার শিপের টিকেটের জন্যে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
ফোন- ০১৮১৬ ৫৮ ৫৭ ৫৭


Monday, September 5, 2016


শিলং ভ্রমণের যাবতীয় তথ্য ও কিছু দারুন টিপস: (যাতায়াত, থাকা খাওয়া, ঘুরাঘুরি সব)
ভারতের মেঘালয় রাজ্যেরা রাজধানী শিলং বেশ জনপ্রিয় একটি পর্যটন শহর। প্রায় ৬,০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত শিলং শহর এবং তার আশেপাশে দেখার জন্য অনেক সুন্দর জায়গা আছে। বিশেষত যারা পুরো পরিবার নিয়ে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে ঘুরতে যান তারা শিলংকে বেছে নিতে পারেন। বাংলাদেশের সিলেট জেলার সাথেই মেঘালয়ের অবস্থান। পৃথিবীর ২য় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় চেরাপুঞ্জিতে, যা মেঘালয় রাজ্যের অন্তর্গত। যারা মেঘ, পাহাড়-পর্বত এবং ঝরণা ভালোবাসেন তাদের জন্য মেঘালয় আদর্শ গন্তব্য।
কিভাবে যাবেন:
বিআরটিসির-শ্যামলী বাস: ঢাকা থেকে বিআরটিসি শ্যামলীর গাড়ী ছাড়ে প্রতি বৃহস্পতি বার রাতে এবং ফিরে আসে সোমবার রাত ১০টায়। শিলং যাবার জন্য এটাই শিলং যাবার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। গাড়ী ভাড়া ৪,০০০ টাকা (রিটার্ন)। এছাড়াও ভিসা ফি ৬০০ টাকা+সার্ভিস চার্জ ৫০০ টাকা। মোট ৫,১০০ টাকা শ্যামলীতে জমা দিয়ে ভারতের ১-৬ মাসের ভিসা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে ইটোকেন নিতে হবেনা। তবে ৫ কর্মদিবস সময় লাগবে ভিসা পেতে। এছাড়া আপনার যদি ভিসা নেয়া থাকে ডাউকি হয়ে, আপনি শুধু বাসের টিকেট কেটেই যেতে পারেন। মনে রাখবেন ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০ টাকা দিতে হবে, সেটা রওনা দেয়ার আগে সোনালী ব্যাংক থেকে দিয়ে যাওয়াই ভালো।
যোগাযোগ:
০১৭৪৯৯৩৭৫৪৫ (শ্যামলী কমলাপুর আন্তর্জাতিক টার্মিনাল)
বিকল্প পদ্ধতি: আপনি যদি শ্যামলীর রুটে স্বাচ্ছন্দ বোধ না করেন, অথবা আপনার সাথে সময় না মিলে তাহলে নিজে নিজে ভিন্নভাবে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে সিলেট রাতের বাসে চলে যান (ভাড়া নন-এসি ৪৭০ টাকা এসি ১২০০ টাকা) সকালে সিলেট নেমে সিএনজি বা গাড়ী ভাড়া করে চলে যান তামাবিল। বর্ডার পার হয়ে শিলংয়ের জন্য গাড়ী ভাড়া করুন। বড় ট্যাক্সিতে ৩,০০০ থেকে ৩,২০০ রুপি নিতে পারে। এছাড়া ছোট ট্যাক্সিক্যাবও নিতে পারেন যদি সংখ্যায় কম হন।
ভিসা: ভারতের ভিসার সব ডকুমেন্টই (ন্যাশনাল আইডি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ডলার এনডোর্স/ক্রেডিট কার্ডের ফটোকপি, লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন, ইত্যাদী) লাগবে। আর পোর্ট অব এন্ট্রি এক্সিট ডাউকি সিলেক্ট করুন। বিস্তারিত www.ivacbd.com দেখুন।
কখন যাবেন:
মেঘালয় সারা বছরই যেতে পারেন। তবে পূজার সময়টা এড়িয়ে যেতে পারেন। সেসময় খুব বেশী ভিড় থাকে। আর বর্ষার সময় যাবার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুুতি নিয়ে যান যেমন রেইন কোট, ছাতা ইত্যাদী সংগে নেয়া । কারণ চেরাপুঞ্চিতে অনেক বেশী বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়াও ছোট-বাচ্চা থাকলে ডিসেম্বর-জানুয়ারী সময়টা এড়িয়ে যেতে পারেন। কারণ তখন তাপমাত্রা ৩-১০ ডিগ্রী থাকে, তবে বরফ পড়েনা।
কোথায় থাকবেনঃ
মেঘালয়ের পুলিশ বাজারের আসে পাশে অনেকগুলো হোটেল আছে। ভাড়া ৫০০-২০০০ রুপি। খোজাখুজি করে উঠে পড়ুন। কিছু হোটেলের নাম ও ফোন নাম্বার দিলাম (ভিসার ফরম পূরণ করার সময় কাজে লাগবে):
Hotel Blue Mount Nx1
MawdiangdiangNear NEIGRIHMS Hospital
Shillong - 793018
Contact No. +918259062502 | +919856689450
Hotel Eden Residency,Police bazar
Sameer 8794802541
2505360,2505358,9206100701
কোথায় খাবেনঃ
পুলিশ বাজারের আশে পাশে অনেক গুলো খাবার হোটেল আছে। সেখানে ভাত-মাছ খেতে পারেন। জনপ্রতি ১০০-১৫০ রুপি খরচ হবে। এছাড়া সাবওয়ে সহ আরো কয়েকটি চেইন আছে যেগুলোতে ২০০-৩০০ রুপিতে খেতে পাবেন।
আশেপাশের দর্শনিয় স্থানঃ
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত থেকে রবিবার রাত (শ্যামলীর শিডিউলের সাথে মিল রেখে তৈরী করার চেষ্টা করলাম):শুক্রবার: শিলং পৈাছতে যদি দুপুর গড়িয়ে যায় সেদিন আর কোথাও না যেয়ে বিকাল বেলাটা শিলং শহরে ঘোরাঘুরি করে কাটাতে পারেন। বিকেলে উমিয়াম লেকটাও ঘুরে আসতে পারেন। অথবা ডন ভসকো মিউজিয়াম, ওয়ার্ড লেক দেখে সময় কাটান। সন্ধ্যাটা রাখুন কেনা কাটার জন্য।
শনিবার: চেরাপুঞ্জি বা সোহরা হচ্ছে শিলংয়ের মূল আকর্ষণ। যদি সংখ্যায় বেশী থাকেন নিজেরা একটা গাড়ী ভাড়া করে চলে যেতে পারেন। আর না হলে মেঘালয়ের ট্যুরিজমের বাসে করে যান। অনেকগুলা স্পটই একদিনে কভার করা যাবে। যেমন, সেভেন সিস্টারস ফলস, মাউসামি কেইভ, নুকায়কালী ফলস, মাউন্টেইন ভিউ ইত্যাদী। বড় ট্যাক্সি (টাকা সুমো, ৭/৮ জন উঠতে পারবেন) ভাড়া নিতে পারে ৩,০০০ থেকে ৩,২০০ রুপি। ছোট ট্যাক্সি যেটাতে ৩/৪ জন উঠতে সেগুলোর ভাড়া আরও কম হবে।
রবিবার: যে গুলো বাদ পড়েছে যেমন: এলিফ্যান্ট ফলস এব শিলং পিক ঘুরে আসুন। দুটোই শহরের কাছাকাছি। ট্যাক্সি ভাড়া নিতে পারে ৩০০ রপি করে। লিভিং রুটের কথা ভুলে যেতে পারেন, ওটা একেবারে ডাউকির কাছে।সোমবারদিন ফিরে আসবেন। ৩ রাত ৩ দিনের জন্য মোটামুটি জনপ্রতি ১২,০০০ টাকা (১৫০ ডলার) যথেষ্ঠ । এর মধ্যে বাস ভাড়া+ভিসার ৫,০০০ টাকা বাদ দিলে থাকে ৭,০০০ টাকা।
শিলং থেকে অন্যান্য শহর:
আপনার হাতে যদি সময় থাকে তবে অন্যান্য শহরও ঘুরে আসতে পারেন। যেমন গুয়াহাটি, আসামের রাজধানী। শপিংয়ের ইচ্ছা থাকলে শিলং থেকে গুয়াহাটি ঘুরে আসতে পারেন, যেতে ৩ ঘন্টা লাগবে। ভাড়া শেয়ার গাড়ীতে ভাড়া ১৫০-২০০ রুপির মত। ভারতের অন্য কোন প্রদেশে যেতে হলেও আপনাকে গুয়াহাটি যেয়ে ট্রেন ধরতে হবে।
টিপসঃ
১. শিলংয়ে ডলার ভাংগানো খুব সমস্যা। ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে আসতে পারলে ব্যাংক থেকে ভাংগান আর না পারলে শ্যামলীর সুপারভাইজারকে বলুন সাহয্য করতে। তাও সম্ভব না হলে পুলিশ বাজারের কাছে একটা কাপড়ের দোকান আছে সেখানে ভাংগাতে পারবেন কিন্তু ঠকাবে
২. মেঘালয় আসামী ট্যাক্সি ড্রাইভার থেকে দূরে থাকবেন, এরা আপনার সাথে বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা করতে পারে। গারো/খাসিয়া ট্যাক্সী ড্রাইভার নিবেন।
৩. সন্ধ্যার সাথে সাথে মোটামুটি লোক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবুও মুভি দেখেতে যেতে পারেন। যদিও সিনেমা হলটা খুব ভালো কিছু না।
৪. খাবার সময় মনে রাখবেন রুই মাছ সবচেয়ে সস্তা এবং ইলিশ মাছ সবচেয়ে দামী, ভুলেও বাংলাদেশ থেকে ৬ মাস আগে রপ্তানী করা ইলিশ মাছ খাবেন না।
৫. রবিবার মোটামুটি সব কিছুই বন্ধ থাকে, কথাটা মাথায় রাখবেন


মহেড়া জমিদার বাড়ি / মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার।
এখানকার সাজানো গুছানো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। বন্ধু বান্ধব অথবা পরিবার পরিজনদের নিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দেওয়া যাবে চোখের পলকেই। এখানে রয়েছে ছবির মত আর ২ টি এবং মোট ৩টি সুবিশাল জমিদার বাড়ি।

যেভাবে যেতে হবে- ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী বাসে (ভাড়া ১৫০) নাটিয়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ডে নেমে অপেক্ষ্যমান সিএনজি বেবীটেক্সীযোগে (ভাড়া ৭৫ টাকা, শেয়ারে জন প্রতি ১৫ টাকা) ০৩ কিঃমিঃ পূর্ব দিকে মহেড়া জমিদার বাড়ি । মহাসড়কে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, মহেড়া, টাঙ্গাইল নামে দিক নির্দেশনা ফলক (বিশাল সাইনবোর্ড) আছে। আর যারা উত্তরবঙ্গ থেকে আসবেন তারা যে কোন ঢাকাগামী বাসে টাঙ্গাইল পার হয়ে ১৭ কিঃমিঃ পর নাটিয়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ডে নেমে একইভাবে যেতে পারেন।

প্রবেশ ফিঃ ৫০টাকা