Friday, July 8, 2016

প্রথমবার কক্সবাজার
বর্ণনা:
পৃথীবির দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। প্রতি বছর সারা দেশ থেকে লাখো পর্যটকের কক্সবাজারে সমাগত হয় কক্সবাজারে সমুদ্র দর্শনের জন্য। কক্সবাজারের সমুদ্র তীর প্রায় ১২০ কিমি দীর্ঘ। এছাড়াও এখানে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ মংস্য বন্দর। আমাদের দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের অবস্থানও কক্সবাজার জেলায়। এ ছাড়াও মহেশখালী ও সোনাদিয়া দ্বীপের অবস্থানও কক্সবাজার জেলায়। শুধু সমুদ্র আর দ্বীপ নয়, এ জেলায় আছে বেশ কয়েকটি সুন্দর সংরক্ষিত বন। এ সমস্ত কারণে কক্সাবাজারে সারা বছরই পর্যটকের ভীড় লেগে থাকে।
কিভাবে যাবেন:
কক্সবাজারের সরাসরি গাড়ী চলে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে। যেমন, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রংপুর ইত্যাদী। ঢাকা থেকে নন এসি গাড়ী আছে অনেকগুলো। শ্যামলী, টিআর, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, সৈাদিয়া, ইত্যাদী। ভাড়া পড়বে ৮০০ টাকা। আর যদি এসি তে যান আছে গ্রীন লাইন, ‍সৈাদিয়া, দেশ ট্রাভেলস, টিআর, সোহাগ ইত্যাদী। ভাড়া পড়বে ১৬০০(ইকোনমি ক্লাস)-থেকে ২০০০ টাকা (বিজনেস ক্লাস)। সময় লাগতে পারে ১২-১৪ ঘন্টার মত। এছাড়া সেন্টমার্টিন পরিবহন বলে একটি সার্ভিস চালু আছে যেটা চলে টেকনাফ পর্যন্ত। নন এসির ক্ষেত্রে ইউনিক এবং শ্যামলীর সার্ভিস ভালো এবং এসির ক্ষেত্রে দেশ এবং টিআর ট্রাভেলসের সার্ভিস ভালো।
চট্টগ্রাম থেকে প্রতি ঘন্টায় কক্সবাজারের গাড়ী পাওয়া যায় বহদ্দার হাট থেকে। অধিকাংশ গাড়ীও অত্যন্ত লোকাল। ভালো সার্ভিস দেয় এস আলম ও সৈাদিয়া, ছাড়ে গরীবুল্লাহ শাহ মাজার, দামপাড়া থেকে।
এছাড়া বিমানেও যেতে পারবেন। রিটার্ণ ভাড়া ৮,০০০ থেকে শুরু করে ১২,০০০ টাকা । ইউএস বাংলা, নোভো এয়ার, বাংলাদেশ বিমান যায় কক্স বাজার। ইউনাইটেড এয়ারের অবস্থা ভালোনা, এতে ভ্রমণ না করায় শ্রেয়। কম খরচে যেতে চাইলে বিমান সবচেয়ে ভালো মাধ্যম, কিন্তু টিকেট কিনতে হবে আগে।
অনেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম যেয়ে তারপর সেখান থেকে কক্স বাজার যেতে চান। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে তূর্ণা-নিশীথা, সুবর্ন এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, চট্রগ্রাম মেইলে চট্টগ্রাম আসতে হবে। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের উল্টা পাশেই বিআরটিসির কাউন্টার থেকে বিআরটিসির বাসে যেতে পারেন কক্সবাজার। অথবা সিএনজি নিয়ে নতুন ব্রীজ বা দামপাড়া যেয়ে কক্সবাজারের গাড়ীতে উঠতে হবে। ট্রেনের বিস্তারিত সময়সূচী এবং ভাড়া জানতে পারবেন www.railway.gov.bd সাইট থেকে।
কখন যাবেন:
কক্সবাজারের পীক সিজন বলে অক্টোবর থেকে মার্চ। এ সময়টায় বৃষ্টি কম হওয়ায় বেশী ট্যুরিস্ট আসে। এ ছাড়াও শীত থাকাতে বীচগুলো বেশী উপভোগ্য লাগে, কিন্তু ভীড়টাও বেশী থাকে। অফপিক সীজন থাকলেও দুই ঈদের পরে এবং তিন দিনের বন্ধে অনেক ট্যুরিস্ট থাকে। এ সময়টায় বুকিং না দিয়ে যাওয়াটা ঠিক নয়। অফসিজনে হোটেলগুলো ৩০% থেকে ৬০% পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে। এ ছাড়াও বর্ষার সময়টা ঢেউ গুলো অনেক বড় থাকে। সেন্টমার্টিনের জাহাজ চলে সাধারণত অক্টোবর থেকে এপ্রিল। সেন্টমার্টিন জাহাজে যাবার ইচ্ছা থাকলে ওই সময়টায় যেতে পারেন। এবছর (২০১৫) কোরবানীর ঈদের পর থেকে জাহাজ চালু হবার কথা (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫).
থাকার ব্যবস্থা:
বর্তমানে কক্সবাজারে হোটেলগুলো প্রায় ১৫০,০০০ জন ধারণ ক্ষমতা আছে। সুতারাং বুক না দিয়ে গেলেও হোটেল পাবার সম্ভাবনা থাকে। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে এবং নিউ ইয়ারের প্রারম্ভে এ ঝুকিটা নেয়া ঠিক হবেনা। কক্স বাজার হোটেল/মোটেল/রিসোর্ট গুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় দামানুসারে।
৬০০০-১০.০০০: মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সায়মন বিচ রিসোর্ট, ওশেন প্যারাডাইজ, লং বীচ, কক্স টুডে।
৩,০০০-৬,০০০: সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, বীচ ভিউ, সী ক্রাউন, ইউনি রিসোর্ট।
১,০০০ - ৩,০০০: উর্মি গেস্ট হাউজ, কোরাল রীফ, ইকরা বিচ রিসোর্ট, অভিসার, মিডিয়া ইন, কল্লোল, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট।
এর চেয়ে কম দামেও পাওয়া যায় (যেমন জিয়া গেস্ট হাউজ), খোজাখুজি করে দেখতে পারেন। কক্সবাজার শহরেও কিছু কমদামের হোটেল আছে।
মনে রাখবেন হোটেল ভাড়া অফসিজনে অর্ধেকেরও বেশী ছাড়ে পাবার সম্ভাবনা থাকে। সুযোগ থাকলে কক্সবাজার নেমে একজন যেয়ে হোটেলের সাথে দরদাম করে হোটেল খুজে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। রিকশাওয়ালা বা সিএনজিওয়ালার পরামর্শে হোটেল খোজাটা উচিত নয়। এখন প্রায় সব হোটেলরই ফেইসবুক পেইজ বা ওয়েবাসাইট থাকে, সেখান থেকে নাম্বার নিয়ে আগে যোগাযোগ করেও যেতে পারেন। কিন্তু ডিসেম্বরের ১৫ থেকে জানুয়ারী ১৫ তারিখ পর্যন্ত বুকিং দিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। এছাড়া কর্মদিবসগুলোতে গেলে উইকএন্ডের তুলনায় বেশী ছাড়া পাওয়া যাবে।
হোটেলের পাশাপাশি কিছু ফ্ল্যাটও ভাড়া পাওয়া যায়। আপনি যদি বড় পরিবার নিয়ে যান, এ ধরণের ফ্ল্যাট আপনার জন্য বেশী উপযোগী হতে পারে। ২/৩/৪ বেড রুম এসি/নন এসি, রান্নঘর সহ এ ধরণের ফ্ল্যাটের ভাড়া পড়বে ২,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা প্রতিদিন। এরকম একটি ফ্ল্যাট বাড়ীর ফোন নাম্বার (আলফা ওয়েব, কলাতলি রোড ০১৭১৫৬৮৩৯৫৬), ভয়েজার (০১৬১৬১০০৪০০)। এ ছাড়াও হোটেল আইল্যান্ডিয়ার গলিতে আরও অনেকগুলো আছে, খোজাখুজি করে দেখতে পারেন।
খাওয়া:
কক্সাজারে খাওয়ার মত অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট আছে। বাজেট রেস্টুরেন্টের মধ্যে ঝাউবনের নামই সবার আগে আসে। এধরণের বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট আছে, খাবারের মান মোটামুটি একই। রোদেলা, ধানসিঁড়ি, নিরিবিলি। মেনু অনুসারে দামের তালিকা নিচে দেওয়া হল। সিজনে কম/বেশী হতে পারে:
ভাত: ২০-৪০ টাকা
মিক্সড ভর্তা: ৭৫/১৫০/৩০০ (৮-১০ আইটেম)
লইট্যা ফ্রাই: ১০০-১২০ (প্রতি প্লেট ৬-১০ টুকরা)
কোরাল/ভেটকি: ১৫০ (প্রতি পিচ)
গরু: ১৫০-২০০ (২ জন শেয়ার করতে পারবেন)
রপচাঁদা ফ্রাই/রান্না: ৩০০-৪০০ (বড়, ২জন খাওয়ার মত)
ডাল: ৩০-৬০
বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য নাম পৈাষী । হোটেল জোন থেকে কিছুটা দুরে শহরে এর অবস্থান। রিকশা/অটো ৫০ টাকা নিবে। দাম মোটামুটি একই। কিন্তু খাবার ভালো হবার কারণে ভিড়টা খুব বেশী থাকে।
এছাড়া হান্ডি রেস্তারায় হায়দারাবদী বিরাণী খেতে পারবেন ২০০-২৫০ টাকায়। অবস্থান লাবণী পয়েন্টে। কেএফসিও আছে, যদি কারো খেতে ইচ্ছা করে।
দর্শনীয় স্থান:
সৈকত: কক্সাবাজারের তিনটি সৈকত মোটামটি বিখ্যাত। লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী বীচ। কলাতলী বীচে ভিড় তুলনামূলক কম থাকে আর সবচেেয়ে বেশী ভিড় থাকে সুগন্ধায়। সময় নিয়ে তিনটা বীচে হেটে দেখতে পারেন। গোসল করলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন ভাটার সময় বা লাল পতাকা দেয়া অবস্থায় পানিতে নামবেননা। বীচে চেয়ার ভাড়া পাওয়া যায় ৫০-৬০ টাকা ঘন্টা। একই ভাড়ায় রাবার টিউবও পাবেন।
বার্মিজ মার্কেট:শহরের বার্মিজ মার্কেট পর্যটকদের একটি প্রিয় গন্তব্য। এখানে বার্মা এবং চায়না (!) থেকে আসা অনেক কিছু পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের আচার, কাপড় চোপড়, গিফট আইটেম।
Saint martin: -----------------------------------------
হিমছড়ি: কক্সবাজার হোটেল জোন থেকে হিমছড়ির দূরত্ব ১৮ কিমির মতে। সিএনজি ভাড়া নিতে পারে ৩০০ টাকা। এছাড়াও প্রবেশ ফি রয়েছে ৩০ টাকা। পাহাড়ের উপর থেকে চমৎকার সমুদ্রের ভিউ দেখা যায় বলে এ জায়গাটি অনেক জনপ্রিয়। মানুষ বেশী থাকলে জীপ ভাড়া করেও যেতে পারেন। জীপ ভাড়া নিতে পারে ৮০০-১০০০ টাকা।
ইনানী:
ইনানী সৈকতের অবস্থান কক্সবাজার থেকে ৪০ কিমি দূরে। সেখানে ভাটার সময় প্রবাল দেখা যায় বলে অনেক ট্যুরিস্ট সেখানে যান। সাধারণত ইনানী আর হিমছড়ির জন্য একসাথে গাড়ী ভাড়া করা হয় কারণ ইনানীর পথে ই হিমছড়ি। এক্ষেত্রে ছাদ খোলা জীপ, ইজি বাইক, সিএনজি, মাইক্রো ইত্যাদী ভাড়া করে যেতে পারেন। ভাড়া নিতে পারে ২৫০০ টাকা (জীপ), ১,০০০ টাকা সিএনজি।
দরিয়ানগর পার্ক:
পাহাড়, সমুদ্র আর সুর্যের মিলনের এ অপরূপ দৃশ্য বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের নিকটবর্তী দরিয়ানগর পর্যটন কেন্দ্রের। কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে মাত্র আট কিলোমিটার পূর্বদিকে দরিয়ানগর পর্যটন কেন্দ্র। পশ্চিমে বিশাল বঙ্গোপসাগর, পূর্বে উঁচু পাহাড়। মাঝখানে কক্সবাজার-টেকনাফ পিচঢালা সড়ক। এই পথ ধরে এগিয়ে গেলেই সবুজে ঘেরা বড়ছেড়া গ্রাম। এই গ্রামের ৫৩ হেক্টর জমির ওপরে উঁচু-নিচু পাঁচটি পাহাড়ের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই বিনোদন কেন্দ্রটি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে খানিক দূরে হিমছড়ি বা ইনানী বিচে যাওয়ার আগেই সমুদ্র আর পাহাড়ের এই মিলনস্থল। পাহাড়ের চূড়া থেকে প্রায় সাতশ’ ফুট গভীরে একটি প্রাচীন গুহাও রয়েছে এখানে। পর্যটকরা অনায়াসে পাহাড়ের সেই ভিন্ন রূপটা উপভোগ করতে পারেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভ্রমণ ও আনন্দ খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারে এই দরিয়ানগর। প্রকৃতি তার দু’হাত ভরে সৌন্দর্য বিতরণ করেছে দরিয়ানগরকে।
ডুলহাজারা সাফারি পার্ক:
এটি কক্সবাজার থেকে ৪১ কিলোমিটার পূর্বে চট্রগ্রাম- কক্সবাজার হাইওয়ের পাশে অবস্থিত। কক্সবাজার শহর থেকে আপনি লোকাল মাইক্রোবাস অথবা চকরিয়াগামী কক্স স্পেশাল বাসে করে সাফারি পার্ক এর প্রবেশ মুখে পৌছাতে পারেন। ভাড়া ৬০-৭০ টাকা। সাফারি পার্ক এর প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। মোটামুটি ১:৩০-২ ঘন্টা হাটলে পুরোটা ঘুরে দেখতে পারেন। বাঘ, সিংহ, কুমির, ভাল্লুক, হরিণ, হাতি, বানর, হুনুমান, খরগোশ, অজগর ছাড়াও প্রায় ১৫০ প্রজাতির জীবজন্তু আছে এই পার্কে। পার্কের ভিতরে একটি লেক ও রয়েছে। পার্কের ভিতরের মনোরম দৃশ্য আপনার চোখ জুড়াবে নিঃসন্দেহেই।
মহেশখালী:
কক্সবাজার থেকে মহেশখালী যেতে হলে আপনাকে যেতে হবে ফিশারী ঘাটে। হোটেল জোন থেকে টমটম বা রিক্সায় যেতে পারেন। টমটমের ভাড়া ১০০ টাকা নিবে। ফিশারী ঘাট থেকে স্পীডবোট ছাড়ে। শেয়ারে গেলে ৭৫ টাকা পড়বে প্র্রতি জন। আর দল বড় হলে রিজার্ভ নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে পড়বে ১৮০০-২০০০ টাকা। সর্বোচ্চ ১১ জন যেতে পারবেন এক স্পীড বোটে। মহেশখালীর মূল আকর্ষণ আদিনাথ মন্দির। এছাড়াও আরো কয়েকটি বৈাদ্ধ মন্দির আছে। সেগুলোও দেখতে পারেন। আদিনাথ মন্দিরের উপরের পাহাড়, ম্যানগ্রোভ বন ও সমুদ্রের দৃশ্যটা অনেক সুন্দর।
সোনাদিয়া:
টেকনাফঃ টেকনাফের ভ্রমণের শুরু হয় নাফনদী থেকে। নদীর কূল ধরে বেড়ে উঠেছে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। শ্বাসমূলের সঙ্গে পানির বোঝাপড়াটাও দারুণ। এছাড়াও দেখার মত স্থান হতে পারে মাথিনের কুপ ,টেকনাফ শহরের প্রান কেন্দ্রে নাফ নদীর পাশে টেকনাফ পুলিশ ফাঁড়ির চত্তরে এই মাথিনের কূপ ।
এছাড়া রয়েছে টেকনাফের দমদমিয়ায় অবস্থিত নেচার পার্কে। গর্জন, তেলসুর, বহেড়া, চাপালিশ, হরীতকীসহ নানা গাছে ঘেরা ঘন সবুজ বন। এখানে ট্রেকিং পথে মিলবে নানা রকমের পাখি আর বন্য প্রাণীর, যা পুরোটাই প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে।
টেকনাফে থাকার জন্য মিল্কই হোটেল ভালো হবে প্রাইজ দামাদামি করে নিলে ২২০০ এর মধ্যে নিতে পারবেন ৪ জনের জন্য ।
শীলখালি গর্জন ফরেস্ট:
রামু বৈা্দ্ধ মন্দির:
প্যারা সেইলিং:
প্যারা সেইলিং করার জন্য আপনাকে যেতে হবে দরিয়ানগর। হিমছড়ির আগে শহরের বাইরেই এর অবস্থান। প্রতি ১৫ মিনিট প্যারাসেইলিং এর জন্য খরচ হবে ১,৫০০ টাকা। তাদের পেইজ লিংক: (https://web.facebook.com/funfestbd/...)
টিপস:
জামা কাপড়:
কক্সবাজারে ঘোরার জন্য থ্রি কোয়ার্টার এবং টি শার্ট বেশী জনপ্রিয় পোশাক। কালো কোন পোশাক না পরে উজ্জল বা হালকার রংগের পোশাক পরা উচিত। স্যান্ডেল পরের মত স্যান্ডেল নিয়ে যাবেন অথবা ১৫০-২০০ টাকা খরচ করে কিনে নিবেন। এছাড়াও সানগ্লাস, হ্যাট/ক্যাপ নিতে ভুলবেনা। প্রয়োজনে সানস্ত্রিন ক্রিম নিন। হোটেলে সুইমিং করার ইচ্ছা থাকলে সুইমিং কস্টিউমও নিতে পারেন। শীতকালে বীচ এলাকাগুলোতে অন্য এলাকার চেয়ে কম শীত পড়ে। তবুও শীতের কাপড় নিয়ে যাবেন।
স্বল্প খরচে কক্সবাজার ঘোরার জন্য কিছু পরামর্শ:
১. নন-এসি বাসে রাতে ভ্রমণ করুন। রাতের তাপমাত্রা সাধারণত একটু কম থাকে। এছাড়া রাতে ভ্রমনের কারণে এক রাতের হোটেল ভাড়া বেচে যাবে। নন-এসির ক্ষেত্রে ইউনিক পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন দেখতে পারেন, এদের সিট এবং ড্রাইবাররা ভালো।
২. সাধারণ ট্রাভেল ব্যাগের পরিবর্তে ব্যাপকপ্যাক মানে পিঠে ঝুলানো যায় এমন ব্যাগ বহন করুন। সাধারণত ট্রলি ধরণের ব্যাগ ব্যবহারের কারণে আপনার চলাচলের সীমাবদ্ধতা তৈরী হয়। ফলে অপ্রয়োজনীয় খরচ বেড়ে যায়।
৩. বীচ থেকে কিছুটা দূরে হোটেল ঠিক করবেন। গলির ভিতরে হলেও কোন সমস্যা নেই। প্রথমে একজন যেয়ে দরাদরি করে রুম ঠিক করুন, পরে বাকীদের ডেকে আনুন। ভাড়া অর্ধেক হয়ে যাবে। রিক্সাওয়ালা, অটো/সিএনজি চালকদের পরামর্শে হোটেল নিবেন না, কারণ তারা হোটেল থেকে কমিশন পেয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করবে।
৪. বীচ থেকে হেটে হেটেই আসা যাওয়া করুন। রিকশা বা অটো নিতে হলে দরদাম করে উঠুন।৫. খাবারের ক্ষেত্রে কয়েকজন থাকলে মূল আইটেম গুলো ভাগ করে খান। উদাহরণ: ৪ জনের জন্য ১. ভাত ৪ টা (১২০ টাকা) ২. হাফ মিক্সড ভাজি-ভর্তা (৮০ টাকা) ৩. লইট্যা মাছ ১ টা (১২০ টাকা) ৪. ডাল ১ টা (৩০ টাকা) ৫. গরু/মুরগী/মাছ ১ টা (১২০ টাক) সব মিলে গড়ে প্রায় ১২০ টাকা করে প্রতিজন।
৬. ভুলেও রপচান্দা (আসলে কালি চান্দা) বা চিংড়ি মাছ অর্ডার করবেন না।
৭. হিমছড়ি যেতে হলে কলাতলি মোড় থেকে লোকাল অটোতে উঠে যান। যতটা মনে পড়ে ২০ টাকা করে ভাড়া। আর ৫/৬ জন হলে একটা দরাদরি করে একটা অটো ঠিক করে নেন।
৮. কলাতলি মোড় থেকে লোকাল অটো বা জীপে করে ইনানিও যেতে পারেন।৯. রাতে গাড়ী থাকলে দুপুরের আগে চেক আউট টাইম অনুসারে হোটেল ছেড়ে দিন। হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলে আপনার ব্যাগ হোটেলে চেক আউট লাগেজ হিসেবে রাখার ব্যবস্থা করে আপনি ঘুরে বেড়ান।
১০. যদি সম্ভব হয় কর্মদিবস গুলোতে যাবেন (রবি থেকে বৃহস্পতি), সে সময় ভিড় কম থাকবে, হোটেল ভাড়াও কম থাকে। তিন দিনের বন্ধ, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ এগুলো এড়িয়ে যাবেন।


No comments:

Post a Comment