Thursday, July 7, 2016

মানিকগঞ্জ ও তার আসে পাশের এলাকা
একদিনের জন্য ভ্রমন প্লান করতে চাইলে প্রথমেই আপনি আপনার লিস্টে মানিকগঞ্জ রাখতে পারেন । ঢাকা থেকে  সকাল ৮টায় বের হয়ে গেলে সারাদিন ঘুরে রাত ৯টায় ঠিক ফেরাযায় ।

যে স্থানগুলি দেখবেনঃ 

বালিয়াটি জমিদার বাড়িঃ
১০০ বছর এর ঐতিহ্য এই বালিয়াটি জমিদার বাড়ি এখনও সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে তার আভিজাত্য আর ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেবার প্রবল আকাঙ্খায়। বিশাল আয়তননিয়ে গড়ে উঠা এক জমিদার বাড়ি ।১০টাকার টিকেটে ভিতরে ঢুকলেই দেখতে পাবেন চারটি প্রায় সম আকারের প্রাসাধ। ব্রিটিশ রাজ এবং করিন্হিয়ান স্টাইলের এই প্রাসাধগুলো সৌন্দর্যের দিক থেকে একটি আরেকটির চেয়ে কম নয়। একপাশটা দেখতে পানামনগরীরমত তো অন্য পার্সের উচুউচু ভবন আপনাকে প্যরিসের কথা মনে করিয়ে দেবে । 
পাটুরিয়া জমিদার বাড়ি
মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ি থেকে খুবসম্ভাবত ৭/৮ কি,মি দ্রুরুত্বে অবস্তিত পাটুরিয়া জমিদার বাড়ি ।কারুকার্যের দিক দিয়ে বালিয়াটি জমিদার বাড়ী থেকে আমার কাছে এইটিই বেশি ভাল লেগেছে ।দেয়ালের পরতে পরতে সৌন্দর্যের ছোয়া। ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা। অন্যসব জমিদারবাড়ির চেয়ে একটু হলেও বাড়তি সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া জমিদার বাড়িতে। এ খানে পাশাপাশি রয়েছে চমৎকার কারুকার্য খচিত বেশ কয়েকটি ভবন। অন্যসব জমিদারবাড়ির চেয়ে একটু হলেও বাড়তি সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়াজমিদার বাড়িতে।

নাহার গার্ডেনঃ 
বাংলাদেশে যে কয়টি পিকনিক স্পট রয়েছে সেগুলোর মধ্যে নাহার গার্ডেন পিকনিক স্পট অন্যতম। এটি মানিকগঞ্জের কামতা গ্রামে অবস্থিত। এই পিকনিক স্পটের আলাদা আলাদা ৭টি স্পট রয়েছে। স্পটগুলোর নাম-
১। বোকেন ভিলা, ২। টাইটানিক ভ্যালি, ৩। ভি,আই,পি বাংলা, ৪। পালকি কটেজ, ৫। ফোয়ারা কটেজ, ৬। পার্ক কটেজ, ৭। গার্ডেন কটেজ।
বুকিং অফিসের লোকেশন
হাতিরপুলের সোনারগাঁও রোডে অবস্থিত ইস্টার্ন প্লাজা মার্কেটের বিপরীতের নাহার প্লাজায় ১৪ তলায় বুকিং অফিসের অবস্থান।
মোঃ এস. সিরাজুল ইসলাম,
মোবাইল- ০১৭৩২৪৭৭৭৩৪, ০১৭১৫৩৬৫৭০৭

তেওতা জমিদার বাড়িঃ 
 তেওতা জমিদার পরিবার  মানিকগঞ্জ জেলার ভূমির সর্ববৃহৎ অংশের স্বত্ত্বাধিকারী জমিদার। পশ্চিম মানিকগঞ্জের তেওতার ষাট-ঘরের অন্যতম দেশগুপ্ত পরিবারের পঞ্চানন চৌধুরী (জন্ম ১৭৪০) এই জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। শংকরগণ ছিলেন (পরিবারের মধ্যবর্তী নাম) প্রগতিশীল, সংস্কারমুক্ত এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী জমিদার। এই পরিবারের সদস্যগণ জনসাধারণের কল্যানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ১৯৫৭ সাল থেকে এই বিস্তৃত জমিদারি বর্তমানে অযত্নে এবং পরিত্যাক্ত অবস্থায় টিকে আছে। যদিও প্রায় সম্পূর্ণ অংশই দখলদারীদের হাতে চলে গেছে। নির্মাণশৈলীর এবং কৌশলগত দিক থেকে তেওতার জমিদারদের অপূর্ব ভবনটিতে মুগল ও ইউরোপীয় স্থাপত্যের এক চমৎকার মিশ্রণ প্রতিফলিত হয়।একই দিনে ঢাকা ফিরতে চাইলে তেওতা জমিদারবাড়ি আলাদা প্লান করা ভালো তেওতা জমিদারবাড়ি বিসাল এরিয়া দেখতেও সময় লাগবে

যেভাবে যেতে পারেনঃ
বাসস্ট্যান্ড থেকে পাটুরিয়া আর বালিয়াটি ২টি দুই দিকে দুরুতব ২০ মিনিট হবে ।
*গাবতলি বাস-টারমিনাল থেকে সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) সরাসরি বাসে গিয়েও যাওয়া যায় ।
  (৳৬০/- জন প্রতি) নেবে । (ব্রিজউন্নয়নের জন্য আপাদত সাটুরিয়ারাস্তা বন্ধ রয়েছে ) 
*তেওতা জমিদার বাড়ি যেতে হলে আপনাকে ঢাকা থেকে আরিচাগামি বাসে উঠে শিবালয় নেমে যেতে হবে । শিবালয়য় থেকে রিক্সা যোগে যেতে পারবেন ।আর মানিকগঞ্জ থেকে তেওতা জমিদারবাড়ি যেতে চাইলে প্রথমে শিবালয় আসতে হবে বাসে করে । মানিক গঞ্জ থেকে শিবালয় বাস আছে ।


No comments:

Post a Comment