Friday, September 23, 2016

পানাম সিটি সোনার গাঁ

গুলিস্থান থেকে মোগড়া পাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত বাস আছে। সার্ভিস অনুযায়ী জনপ্রতি ভাড়া ৩০ থেকে ৪৫ টাকা। স্পেশাল বাস গুলো ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যায় তাই ভাড়া একটু বেশি হলে ও সময় কম লাগে । মোগড়া পাড়া থেকে সোনারগাঁও লোকশিল্প যাদুঘর পর্যন্ত অটোরিকশায় জনপ্রতি ভাড়া ১০ টাকা আর সরাসরি পানাম সিটি গেলে ১৫টাকা । সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প যাদুঘরে জনপ্রতি টিকেট ২০ টাকা এবং পানাম নগরীতে জনপ্রতি ১৫ টাকা টিকেট ।

ঘুরতে যাওয়ার আগে যে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন –

আপনার ব্যক্তিগত ক্যামেরা/মোবাইল ফোন নিতে ভুলবেন না, কারণ সেখানে ছবি তোলার জন্য আলাদা করে তেমন ভালো কোন ব্যবস্থা নেই ।
যেহেতু সোনারগাঁও ঢাকা থেকে অনেকটাই নিকটবর্তী, চাইলে বাসা থেকে রান্না করে হটপটে করে খাবার নিয়ে যেতে পারেন । এতে খরচ ও কম হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের ও নিশ্চয়তা পাবেন।

Tuesday, September 13, 2016

ঈদ বন্ধে সবার ভেতর টাঙ্গুয়ার হাওড় যাওয়ার প্রবনতা লক্ষণীয়।ঘোরাঘুরির স্বার্থে টিওবিতে ভালই চোখ রাখা হয়।গত ঈদের বন্ধে যে ক্রেইজটা সিলেটের বিছানাকান্দি বা পান্থুমাইয়ের ব্যাপারে ছিল এই ঈদের বন্ধে সেটা অনেকটাই শিফটেড টাঙ্গুয়ার হাওড়ের দিকে মনে হল।বাট আমার ক্ষেত্রে এই টাঙ্গুয়া এক্সপেডিশনটা হয়েছিল একটু আনট্র্যাডিশনাল ওয়েতে।টাঙ্গুয়ার হাওড় হয়েই নেত্রকোনার বিরিশিরি পর্যন্ত যাওয়ার রুট প্ল্যান বানিয়ে সে অনুযায়ী ঘুরে এসেছিলাম গত বছর।মূলত সুনামগঞ্জ+নেত্রকোনা+ময়মনসিংহ+জামালপুর+শেরপুর জেলা পাঁচটা ঘুরে ফেলার মিশনের একটা পার্ট ছিল টাঙ্গুয়ার হাওড় ও বিরিশিরি ভ্রমণ।মিশন একমপ্লিশড।বাট টাঙ্গুয়ার হাওড় সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।হাওড়টাকে একটু গভীর থেকে দেখার যাদের ইচ্ছা তাদের জন্য এই রুট।এই বন্ধে ট্রাভেলার্স ভাই ব্রাদার যারা যাচ্ছেন ওইদিকে তাদের সুবিধার্থে তাই রুট প্ল্যান+ট্রিপ ডিটেইলস টা দিয়ে দিচ্ছি(আপ টু টাঙ্গুয়া ও নেত্রকোনা,পোস্টটাকে ইতিহাস না বানানোর স্বার্থে বাকীটা অন্য পোস্টে অন্য কোনদিন https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v5/u20/1/16/1f61c.png😜https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v5/u20/1/16/1f61c.png😜)
শুরুতেই বলে নিচ্ছি এই রুটে হাওড় ঘুরতে গেলে প্ল্যানটা হতে হবে কমপক্ষে তিনদিনের।
দিন-১ (সুনামগঞ্জ-লাউড়ের গড়-বারেকের টিলা-তাহিরপুর)
রাতের গাড়ীতে বাংলাদেশ এর যেকোন প্রান্ত থেকে চলে আসুন সুনামগঞ্জ।হাছন রাজার বাড়ী+জাদুঘরে একটু ঢু মেরে অটোতে ব্রীজের গোড়া(জায়গাটার একচুয়াল নাম মনে নাই,সুনামগঞ্জ শহরে ঢুকতে বিশাল ব্রীজটা চোখে পড়বে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর রোডে)।ওখান থেকে বাইক ভাড়া করতে হবে।আগেই বলে নেবেন লাউড়ের গড় ও বারেকের টিলা দেখিয়ে তাহিরপুর বাজারে নামিয়ে দিতে হবে।বারেকের টিলা জাফলং এর কার্বন কপি।পার্থক্য একটাই,জাফলং এ ট্যুরিস্ট বেশী আর এখানে নাই।টিলার পাশে দিয়েই বয়ে গেছে যাদুকাটা নদী।এ স্পট দুইটা দেখে তাহিরপুর যেতে প্রায় সন্ধ্যা হবে।যাওয়ার রাস্তায় পড়বে শনির হাওড় আর হাওড় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মনভোলানো দৃশ্য।সুর্যাস্তটা শনির হাওড়েও উপভোগ করে যেতে পারেন রাস্তার পাশে বাইক থামিয়ে।
রাতে থাকতে হবে তাহিরপুর ডাকবাংলো বা ইউএনও রেস্টহাউজ।বলাবাহুল্য এর বাইরে থাকার জায়গা নেই।আগে থেকেই বুক করে যাওয়া শ্রেয়।ডাকবাংলো শুনে যদি আহামরি কিছু মনে করেন পস্তাবেন।কোনরকম রাত কাটাতে পারবেন এই যা।
দিন-২(টাঙ্গুয়ার হাওড়-বাগলী-মধ্যনগর)
সকালে উঠে নৌকা ভাড়া করে ফেলুন।পুরো হাওড় ঘুরিয়ে রাতে মাঝ হাওড়ে থেকে পরদিন সকালে নেত্রকোনা নিয়ে ফেলতে হবে(https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v5/u4f/1/16/1f601.png😁) এই কথা বললে মাঝি ভালই পিছটান দিবে।আমার টার্গেট ছিল নেত্রকোনার কলমাকান্দা পর্যন্ত যাওয়ার।রাজি হয়নাই ভাল অংকের ভাড়া সাধার পরেও।মধ্যনগর পর্যন্ত রাজি হয়েছিল(এটা কলমাকান্দা উপজেলার একটা ডাকঘর)।এর বেশী ওরা সাধারণত যায় না।অতটুকুই ঠিক করে ফেলতে পারেন।দুপুরে+রাতে খাওয়ার ব্যাবস্থা হাওড়ের ভেতরেই কোন গ্রামে মাঝিই ম্যানেজ করে দিবে।আমাদের একবেলাতেই হয়ে গেসিল।।হাওড়ের সৌন্দর্য দেখেই পেট ভরপুর হওয়াতে ক্ষিধা টের পাইনি https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v5/u51/1/16/1f603.png😃।নৌকায় উঠার আগে শুকনা খাবার নিয়ে নিবেন প্রচুর পরিমানে।শুরুতেই চলে যাবেন ওয়াচ টাওয়ার।বেশী সময় টাওয়ারে না কাটিয়ে লাইফ জ্যাকেট থাকলে পাশেই পানিতে দাপাদাপি করে নিতে পারেন সময় নিয়ে।তারপর নৌকায় চড়ে বসে রওনা দিন মধ্যনগর অভিমুখে।মেঘালয়ের পাশ ঘেষে যতই হাওড়ের গভীরে যতই ঢুকবেন ততই মুগ্ধতা আপনার জন্য অপেক্ষা করবে।চলার পথেই পড়বে ছোট ছোট গ্রাম।আমরা নৌকা ভিড়িয়েছিলাম বাগলী গ্রামের তীরে।সীমান্তবর্তী একটা ছোট গ্রাম।খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত হয়েছিল গ্রামেরই বাজারের এক হোটেলে।বাগলী গ্রাম পর্যন্ত অনেক ট্যুরিস্টই যায়।সেইফটি ইস্যুতে ওখানেই রাত কাটাতে পারবেন।বাট আমার মত "মাঝ হাওড়েই হিজল গাছে বাধা নৌকায় দুলতে দুলতে আকাশের চাঁদ না দেখতে পারলে জীবনটাই বৃথা" এই নীতিতে অটল থাকলে পেটপূজো+সূর্যাস্ত অবলোকন শেষে গ্রাম ত্যাগ করতে পারেন।আমাদের নৌকা রাতেও ঘন্টাখানেক চালিয়ে মধ্যনগরের কাছাকাছি কোন এক জায়গায় হিজল গাছে বাঁধা ছিল সারারাত।রাতের হাওড় কেমন সেটা নিয়ে কথা বাড়ালে পোস্ট শেষ হবে না।খালি এটা কল্পনা করে নিন এক পাশে মেঘালয়ের পাহাড়,আরেকপাশে বিস্তীর্ণ জলরাশি,হাওড়ের স্বচ্ছ জলে চাঁদের আলোর প্রতিফলন এই তিনে মিলে ভিউটা কেমন হতে পারে,বাকীটা স্বচক্ষেই না হয় দেখে নেবেন
দিন-৩(মধ্যনগর-কলমাকান্ধা-দুর্গাপুর-বিরিশিরি-সোমেশ্বরী নদী)
খুব ভোরে মধ্যনগর পৌঁছে যাবেন সব ঠিক থাকলে।ওখান থেকে লোকাল ট্রলার ছাড়ে সকাল ৭ টা থেকে কলমাকান্দা পর্যন্ত।সময় লাগবে দুই ঘন্টা।হাওড়ের নেত্রকোনা অংশের শুরু মোটামুটি মধ্যনগরের পর থেকেই।ট্রলার ভর্তি স্কুলের বাচ্চাকাচ্চা,চাকুরীজীবি আর ঘাটে ঘাটে ট্রলার ভেড়া দেখে বুঝতে পারবেন হাওড় অঞ্চলের জীবনযাত্রা কতটা জলপথ নির্ভর।কলমাকান্দা নেমেই বাইক ভাড়া করে চলে যাবেন দুর্গাপুর।২২ কিলো রাস্তা।বিরিশিরিতে পৌঁছে আরেকটা বাইক ভাড়া করে(রাতে গেস্টহাউজে ওঠার প্ল্যান না থাকলে সরাসরি কলমাকান্দা থেকেই ভাড়া করে নিতে পারেন) ঘুরে আসতে পারেন রানীখং গির্জা,সোমেশ্বরী নদী,চীনামাটির লেক,গারো পাহাড়।একদিনেই সব ঘুরে আসতে পারবেন।দিনশেষে রাতের বাস ধরে নিজ গন্তব্য রওনা দিতে পারেন।আর আমার মত বেকার(তৎকালীন) থাকলে+আরো পশ্চিমে সরে আসার ইচ্ছা হলে রাতে গেস্টহাউজে থেকে পরদিন ধোবাউড়া(ময়মনসিংহ),তারও পরদিন শেরপুর হয়ে চলে যেতে পারেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত........
খরচাপাতিঃ-
>সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর বাইক ভাড়া ১০০০-১২০০(বাইক প্রতি)।আমরা ১২০০ দিসিলাম।
>তাহিরপুর ডাকবাংলো রুম ভাড়া ৪০০ টাকা
>নৌকা ভাড়া(ফুল ট্রিপ)-৪৫০০
আমরা মেম্বার তিনজন ছিলাম।নৌকা ১৫ জনের।পকেটের উপর দিয়ে ভালই ঝড় গেসিল।তবে যা দেখেছি তাতে মন ভরে আর টাকার কস্ট ফিল হয়নাই।মেম্বার বেশী হলে নৌকাভাড়া মাথাপিছু ব্যাস্তানুপিক হারে কমবে।
>রাতের খাওয়া-মাথাপিছু ১০০ টাকা।
>মধ্যনগর-কলমকান্দা ট্রলার ভাড়া পার হেড ৮০ টাকা।
>কলমাকান্দা-দুর্গাপুর বাইক ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা।
>বিরিশিরি-চীনামাটির লেক-গারো পাহাড় বাইক ভাড়া ৬০০ টাকা(বাইক প্রতি)
প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বারঃ
শিবলী মাঝি(তাহিরপুর)ঃ০১৭৯২৩২৯৬৩৩
ক্রিপেষ বাবু(তাহিরপুর গেস্টহাউজ)ঃ০১৭২৪৯৬৮১৬১
এর বাইরে যেকোন দরকারে ফোন দিতে পারেন Sworup Chakraborty ভাইকে(ফোন-০১৭৪৬৮৬৩৩৬২)।সুনামগঞ্জেই বাড়ি।অত্যন্ত অমায়িক একজন মানুষ।
ছবিঃবাগলী গ্রামে প্রবেশের মুখে তোলা


Wednesday, September 7, 2016

জেনে নিন কিভাবে কম খরচেই কক্সবাজার, মহেশখালী, হিমছড়ি ও ইনানী ঘুরে আসবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে ভাড়া পড়বে ৭০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকার মধ্যে (নন এসি)। সৌদিয়া, এস আলম , হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, মডার্ন লাইন, শাহ্ বাহাদুর, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন বাসে সব সময় আসা যাওয়া করা যায়। বেশ কিছু ভাল এসি বাস-ও চলে এই রুটে, ভাড়া ১৫০০-২০০০ টাকা । যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে কমলাপুর থেকে উঠতে হবে, চট্টগ্রাম নেমে ওখান থেকে কক্সবাজারের জন্যে বাসে উঠতে হবে, ভাড়া ২৪০ টাকা ।
১ । সকালে গাড়ি থেকে নেমে যেকোনো হোটেলে উঠতে পারেন । ফ্রেশ হয়ে হাল্কা নাশতা করে নেমে যেতে পারেন সমুদ্রে তবে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার ভাঁটার সময় জেনে নিবেন।
২। তারপর হোটেল এ এসে কাপড় পরিবর্তন করে শৈবাল সুইমিং পুল এ যেতে পারেন ।জন প্রতি ১৫০ টাকা লাগবে প্রবেশ মূল্য।
৩। দুপুরের খাবার যেকোনো বাংলা হোটেল থেকেই খেতে পারেন খুবই কম খরচে।
৪। খাবার খেয়ে হালকা রেস্ট নিয়ে চলে যেতে পারেন দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীর উদ্দেশ্যে । ৬ নং ঘাট নামক স্থান থেকে মাত্র ১৫ মিনিট স্পীড বোটে চড়ে যেতে পারেন এই দ্বীপে, ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৭৫ টাকা । মহেশখালী ঘাটে নেমে একটা রিক্সা বা অটো নিয়ে আশেপাশের স্পট গুলো ঘুরে দেখতে পারেন, ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা, অবশ্যই ভাল মত দরদাম করে নিবেন । স্পীড বোটে চড়ার অনুভুতিটার সাথে কোন কিছুর তুলনা হবে না, একবার গিয়েই দেখুন না ।
৫ । সন্ধ্যার আগেই মহেশখালী থেকে ফিরে বাকিটা সময় ব্যয় করতে পারেন কেনাকাটা করার জন্য । কম টাকায় কেনাকাটা করতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে বার্মিজ মার্কেটে ।
৬। রাতের বেলা সমুদ্র পাড়ে বসে কাটাতে পারেন আর শুনতে পারেন সমুদ্রের শো শো গর্জন ।বসে থাকার জন্য চেয়ার ভাড়া করা প্রতি ঘণ্টা মাত্র ৩০ টাকা ।
৭। পরের দিন সকালে সূর্যোদয় দেখতে চাইলে খুব ভোরেই আপনাকে যেতে হবে সমুদ্র পাড়ে।
৮। সকাল বেলার নাশতা টা খুব কম খরচে করতে পারেন যেকোনো বাংলা হোটেল থেকেই । রিটার্ন টিকেট কেটে হোটেলে এসে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তে পারেন হিমছড়ি, ইনানির উদ্দেশে।
তবে যাবার আগে অবশ্যই হোটেল চেক আউট করে যাবেন আর ব্যাগপত্র লবিতে চেক-আউট লাগেজ হিসেবে রেখে যেতে পারেন। ফিরে এসে নিতে পারবেন, এই জন্য আপনাকে কোন অতিরিক্ত টাকা পয়সা দিতে হবে না ।
কক্সবাজার শহর থেকে ইনানীর দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। খোলা জীপ, রিকশা কিংবা ব্যাটারী চালিত রিকশাতে করে সেখানে যাওয়া যাবে। খোলা জীপে গেলে জনপ্রতি ভাড়া ১৫০-১৭০ টাকা পড়বে। রিজার্ভ নিলে এটি পড়বে ১২০০ -১৫০০টাকা।রিকশা করে যেতে হলে ভাড়া লাগবে ৩০০-৪০০ টাকা। আর সি এন জি নিয়ে গেলে আসা যাওয়ার ভাড়া পড়বে ৫০০-৬০০টাকা। সৈকত লাগোয়া আকাশ ছোঁয়া পাহাড় এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন যাওয়ার পথেই।
যাত্রা পথেই কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার আসলেই পাবেন হিমছড়ি । উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ের হিম শীতল ঝরণা।
হিমছড়ি পাড় হয়ে আরও ৮কি.মি গেলেই আপনি পৌছে যাবেন ইনানী, যাকে বলা হয়, মিনি সেন্টমার্টিন। উপভোগ করতে পারবেন বিস্তীর্ণ পাথুরে সৈকত। সমুদ্র থেকে ভেসে এসে প্রচুর প্রবাল বেলাভূমিতে জমা হয়েছে । বিচে চলার উপযোগী চার চাকার বেশ কয়েকটি বাইক সৈকতে চলাচল করে। ১ কিলোমিটার দূরত্বে ভ্রমণ করতে রাউন্ড প্রতি ৫০ টাকা করে দিতে হবে আপনাকে।
কক্সবাজার শহরে ফিরে আপনি হোটেল থেকে ব্যাগ পত্র বুঝে নিয়ে বিকেল এর সময়টা কেনা কাটা করতে পারেন অথবা সমুদ্র পাড়ে চেয়ার ভাড়া করে শেষ সময় টা সূর্যাস্ত দেখতে পারেন গাড়ির সময় এর আগ পর্যন্ত।
ঈদের ছুটিতে সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্টের চাপ থাকে প্রচুর, আর কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে চাপ তো থাকেই । তাই আগেভাগেই বাসের টিকেট, হোটেল বুকিং ও শীপের টিকেট বুকিং দিয়ে গেলে ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া, অযথা দৌড়াদৌড়ি করতে হয়না । বিশেষ করে শিপের টিকেট টা আগে থেকে বুকিং দিয়ে না গেলে আপনি টেকনাফ গিয়ে পাবেন কিনা শিউর না কারণ শীতকালে প্রতিদিন ৪-৫ টা শিপ গেলেও এই ঈদের সময় মাত্র ২ টি শিপ সেন্টমার্টিন যাবে ।
বাসের টিকেট, রেন্ট এ কার, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে হোটেল/রিসোর্ট এবং টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার শিপের টিকেটের জন্যে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
ফোন- ০১৮১৬ ৫৮ ৫৭ ৫৭


Monday, September 5, 2016


শিলং ভ্রমণের যাবতীয় তথ্য ও কিছু দারুন টিপস: (যাতায়াত, থাকা খাওয়া, ঘুরাঘুরি সব)
ভারতের মেঘালয় রাজ্যেরা রাজধানী শিলং বেশ জনপ্রিয় একটি পর্যটন শহর। প্রায় ৬,০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত শিলং শহর এবং তার আশেপাশে দেখার জন্য অনেক সুন্দর জায়গা আছে। বিশেষত যারা পুরো পরিবার নিয়ে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে ঘুরতে যান তারা শিলংকে বেছে নিতে পারেন। বাংলাদেশের সিলেট জেলার সাথেই মেঘালয়ের অবস্থান। পৃথিবীর ২য় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় চেরাপুঞ্জিতে, যা মেঘালয় রাজ্যের অন্তর্গত। যারা মেঘ, পাহাড়-পর্বত এবং ঝরণা ভালোবাসেন তাদের জন্য মেঘালয় আদর্শ গন্তব্য।
কিভাবে যাবেন:
বিআরটিসির-শ্যামলী বাস: ঢাকা থেকে বিআরটিসি শ্যামলীর গাড়ী ছাড়ে প্রতি বৃহস্পতি বার রাতে এবং ফিরে আসে সোমবার রাত ১০টায়। শিলং যাবার জন্য এটাই শিলং যাবার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। গাড়ী ভাড়া ৪,০০০ টাকা (রিটার্ন)। এছাড়াও ভিসা ফি ৬০০ টাকা+সার্ভিস চার্জ ৫০০ টাকা। মোট ৫,১০০ টাকা শ্যামলীতে জমা দিয়ে ভারতের ১-৬ মাসের ভিসা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে ইটোকেন নিতে হবেনা। তবে ৫ কর্মদিবস সময় লাগবে ভিসা পেতে। এছাড়া আপনার যদি ভিসা নেয়া থাকে ডাউকি হয়ে, আপনি শুধু বাসের টিকেট কেটেই যেতে পারেন। মনে রাখবেন ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০ টাকা দিতে হবে, সেটা রওনা দেয়ার আগে সোনালী ব্যাংক থেকে দিয়ে যাওয়াই ভালো।
যোগাযোগ:
০১৭৪৯৯৩৭৫৪৫ (শ্যামলী কমলাপুর আন্তর্জাতিক টার্মিনাল)
বিকল্প পদ্ধতি: আপনি যদি শ্যামলীর রুটে স্বাচ্ছন্দ বোধ না করেন, অথবা আপনার সাথে সময় না মিলে তাহলে নিজে নিজে ভিন্নভাবে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে সিলেট রাতের বাসে চলে যান (ভাড়া নন-এসি ৪৭০ টাকা এসি ১২০০ টাকা) সকালে সিলেট নেমে সিএনজি বা গাড়ী ভাড়া করে চলে যান তামাবিল। বর্ডার পার হয়ে শিলংয়ের জন্য গাড়ী ভাড়া করুন। বড় ট্যাক্সিতে ৩,০০০ থেকে ৩,২০০ রুপি নিতে পারে। এছাড়া ছোট ট্যাক্সিক্যাবও নিতে পারেন যদি সংখ্যায় কম হন।
ভিসা: ভারতের ভিসার সব ডকুমেন্টই (ন্যাশনাল আইডি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ডলার এনডোর্স/ক্রেডিট কার্ডের ফটোকপি, লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন, ইত্যাদী) লাগবে। আর পোর্ট অব এন্ট্রি এক্সিট ডাউকি সিলেক্ট করুন। বিস্তারিত www.ivacbd.com দেখুন।
কখন যাবেন:
মেঘালয় সারা বছরই যেতে পারেন। তবে পূজার সময়টা এড়িয়ে যেতে পারেন। সেসময় খুব বেশী ভিড় থাকে। আর বর্ষার সময় যাবার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুুতি নিয়ে যান যেমন রেইন কোট, ছাতা ইত্যাদী সংগে নেয়া । কারণ চেরাপুঞ্চিতে অনেক বেশী বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়াও ছোট-বাচ্চা থাকলে ডিসেম্বর-জানুয়ারী সময়টা এড়িয়ে যেতে পারেন। কারণ তখন তাপমাত্রা ৩-১০ ডিগ্রী থাকে, তবে বরফ পড়েনা।
কোথায় থাকবেনঃ
মেঘালয়ের পুলিশ বাজারের আসে পাশে অনেকগুলো হোটেল আছে। ভাড়া ৫০০-২০০০ রুপি। খোজাখুজি করে উঠে পড়ুন। কিছু হোটেলের নাম ও ফোন নাম্বার দিলাম (ভিসার ফরম পূরণ করার সময় কাজে লাগবে):
Hotel Blue Mount Nx1
MawdiangdiangNear NEIGRIHMS Hospital
Shillong - 793018
Contact No. +918259062502 | +919856689450
Hotel Eden Residency,Police bazar
Sameer 8794802541
2505360,2505358,9206100701
কোথায় খাবেনঃ
পুলিশ বাজারের আশে পাশে অনেক গুলো খাবার হোটেল আছে। সেখানে ভাত-মাছ খেতে পারেন। জনপ্রতি ১০০-১৫০ রুপি খরচ হবে। এছাড়া সাবওয়ে সহ আরো কয়েকটি চেইন আছে যেগুলোতে ২০০-৩০০ রুপিতে খেতে পাবেন।
আশেপাশের দর্শনিয় স্থানঃ
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত থেকে রবিবার রাত (শ্যামলীর শিডিউলের সাথে মিল রেখে তৈরী করার চেষ্টা করলাম):শুক্রবার: শিলং পৈাছতে যদি দুপুর গড়িয়ে যায় সেদিন আর কোথাও না যেয়ে বিকাল বেলাটা শিলং শহরে ঘোরাঘুরি করে কাটাতে পারেন। বিকেলে উমিয়াম লেকটাও ঘুরে আসতে পারেন। অথবা ডন ভসকো মিউজিয়াম, ওয়ার্ড লেক দেখে সময় কাটান। সন্ধ্যাটা রাখুন কেনা কাটার জন্য।
শনিবার: চেরাপুঞ্জি বা সোহরা হচ্ছে শিলংয়ের মূল আকর্ষণ। যদি সংখ্যায় বেশী থাকেন নিজেরা একটা গাড়ী ভাড়া করে চলে যেতে পারেন। আর না হলে মেঘালয়ের ট্যুরিজমের বাসে করে যান। অনেকগুলা স্পটই একদিনে কভার করা যাবে। যেমন, সেভেন সিস্টারস ফলস, মাউসামি কেইভ, নুকায়কালী ফলস, মাউন্টেইন ভিউ ইত্যাদী। বড় ট্যাক্সি (টাকা সুমো, ৭/৮ জন উঠতে পারবেন) ভাড়া নিতে পারে ৩,০০০ থেকে ৩,২০০ রুপি। ছোট ট্যাক্সি যেটাতে ৩/৪ জন উঠতে সেগুলোর ভাড়া আরও কম হবে।
রবিবার: যে গুলো বাদ পড়েছে যেমন: এলিফ্যান্ট ফলস এব শিলং পিক ঘুরে আসুন। দুটোই শহরের কাছাকাছি। ট্যাক্সি ভাড়া নিতে পারে ৩০০ রপি করে। লিভিং রুটের কথা ভুলে যেতে পারেন, ওটা একেবারে ডাউকির কাছে।সোমবারদিন ফিরে আসবেন। ৩ রাত ৩ দিনের জন্য মোটামুটি জনপ্রতি ১২,০০০ টাকা (১৫০ ডলার) যথেষ্ঠ । এর মধ্যে বাস ভাড়া+ভিসার ৫,০০০ টাকা বাদ দিলে থাকে ৭,০০০ টাকা।
শিলং থেকে অন্যান্য শহর:
আপনার হাতে যদি সময় থাকে তবে অন্যান্য শহরও ঘুরে আসতে পারেন। যেমন গুয়াহাটি, আসামের রাজধানী। শপিংয়ের ইচ্ছা থাকলে শিলং থেকে গুয়াহাটি ঘুরে আসতে পারেন, যেতে ৩ ঘন্টা লাগবে। ভাড়া শেয়ার গাড়ীতে ভাড়া ১৫০-২০০ রুপির মত। ভারতের অন্য কোন প্রদেশে যেতে হলেও আপনাকে গুয়াহাটি যেয়ে ট্রেন ধরতে হবে।
টিপসঃ
১. শিলংয়ে ডলার ভাংগানো খুব সমস্যা। ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে আসতে পারলে ব্যাংক থেকে ভাংগান আর না পারলে শ্যামলীর সুপারভাইজারকে বলুন সাহয্য করতে। তাও সম্ভব না হলে পুলিশ বাজারের কাছে একটা কাপড়ের দোকান আছে সেখানে ভাংগাতে পারবেন কিন্তু ঠকাবে
২. মেঘালয় আসামী ট্যাক্সি ড্রাইভার থেকে দূরে থাকবেন, এরা আপনার সাথে বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা করতে পারে। গারো/খাসিয়া ট্যাক্সী ড্রাইভার নিবেন।
৩. সন্ধ্যার সাথে সাথে মোটামুটি লোক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবুও মুভি দেখেতে যেতে পারেন। যদিও সিনেমা হলটা খুব ভালো কিছু না।
৪. খাবার সময় মনে রাখবেন রুই মাছ সবচেয়ে সস্তা এবং ইলিশ মাছ সবচেয়ে দামী, ভুলেও বাংলাদেশ থেকে ৬ মাস আগে রপ্তানী করা ইলিশ মাছ খাবেন না।
৫. রবিবার মোটামুটি সব কিছুই বন্ধ থাকে, কথাটা মাথায় রাখবেন


মহেড়া জমিদার বাড়ি / মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার।
এখানকার সাজানো গুছানো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। বন্ধু বান্ধব অথবা পরিবার পরিজনদের নিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দেওয়া যাবে চোখের পলকেই। এখানে রয়েছে ছবির মত আর ২ টি এবং মোট ৩টি সুবিশাল জমিদার বাড়ি।

যেভাবে যেতে হবে- ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী বাসে (ভাড়া ১৫০) নাটিয়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ডে নেমে অপেক্ষ্যমান সিএনজি বেবীটেক্সীযোগে (ভাড়া ৭৫ টাকা, শেয়ারে জন প্রতি ১৫ টাকা) ০৩ কিঃমিঃ পূর্ব দিকে মহেড়া জমিদার বাড়ি । মহাসড়কে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, মহেড়া, টাঙ্গাইল নামে দিক নির্দেশনা ফলক (বিশাল সাইনবোর্ড) আছে। আর যারা উত্তরবঙ্গ থেকে আসবেন তারা যে কোন ঢাকাগামী বাসে টাঙ্গাইল পার হয়ে ১৭ কিঃমিঃ পর নাটিয়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ডে নেমে একইভাবে যেতে পারেন।

প্রবেশ ফিঃ ৫০টাকা

Monday, July 11, 2016

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, গাজীপুর
NOVEMBER 25, 2013
Shyikh Mahdi

শর্ট ডে ট্যুরঃ বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, গাজীপুর !!!চান্স পেয়ে আজকেই ঘুরে আসলাম বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক থেকে। পার্কের কাজ ৬০% শেষ হয়েছে, পুরোটা শেষ হবে ২০১৬ নাগাদ। নেহায়েত খারাপ লাগল না। তবে সাফারী পার্কের মূল আকর্ষণ - সাফারী কার, সেটা এখনও চালু হয়নি তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই হয়ে যাবে। বাঘ সিঙ্গি মামারা তাই আপাতত খাঁচায় আটক আছেন।ঠিক এখন জায়গাটার যেই চেহারা, সেটাকে ইনফরম্যাল একটা চিড়িয়াখানা বললেই ভাল হয়। তবে খুব নিরিবিলি, এই যা শান্তি। চুপচাপ দাঁড়িয়ে প্রাণীগুলোকে দেখা যায়। তবে বাঙ্গালীর খাসলত তো আর পাল্টায় না। পার্কে ঢোকার সময় গেটের দারোয়ান বলেছিলো, পিস্তল নিয়ে ঢুকলে ঢোকেন কিন্তু কোন খাবার টাবার নিয়ে ঢোকা যাবে না। তারপরও কুমিরের পুকুরে, লিজার্ডদের খাঁচায় জুস আর পানির বোতল, বিস্কিটের প্যাকেট দেখে অবাক হতে হয়েছে, কষ্ট পেয়েছি তার চেয়েও বেশি। এভিয়ারীটা জটিল জায়গা। আমাজানের ম্যাকাও পাখিটা টিভিতেই দেখতাম, এইবার সুযোগ হলো ছুয়ে দেখার। তবে ঠোঁটের ধার দেখে ঘাড়ে নেয়া হলো না। হোয়াইট নেক ঈগল দেখে ভালোই লাগল, আর পেলিক্যান পাখি বেশিই সুন্দর। পার্কে সাফারী হবে বেসিক্যালী তিন রকমের। টাইগার-লায়ন সাফারী তো আছে, আফ্রিকান সাফারী আছে যেটা হবে মূলত জিরাফ, জেব্রা, ওয়াইল্ডবিস্ট আর জলহস্তীর সাথে। একটা এশিয়ান সাফারীও আছে, সেটা চালু হয়নি। বলা হচ্ছে এটা এশিয়ার বৃহত্তম সাফারী পার্ক। কাগজে কলমে কথাটা ঠিক, তবে আকর্ষণ কেমন সেটা ফুল সুইং এ চালু হলেই বোঝাযাবে।

যারা যেতে চানঃ পার্কের অবস্থানটি হলো বাঘের বাজার, ময়মনসিংহ রোড, শ্রীপুর, গাজীপুর।এখানে যেতে হলে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে গাজীপুর চৌরাস্তায় আসতে হবে। চৌরাস্তা মাওনা বা ময়মনসিংহ গামী যেকোন বাস বা টেম্পোতে করে বাঘের বাজার নামতে হবে, ভাড়া নেবে ২০ টাকা এরপর সেখান থেকে শেয়ারড অটো বা ট্যাক্সি বা রিকশা ভ্যানে ২০ টাকা নিবে, পার্কের গেটে নামিয়ে দিবে। আর নিজেদের গাড়ী থাকলে তো কথাই নেই, টান দিয়ে চলে যান সরাসরি। ঢাকার মহাখালি বাসস্ট্যান্ড এর বিপরীত দিক থেকে "ক্রাউন ডিলাক্স-ডাউন টাউন", "প্রভাতী - বনশ্রী এর শ্রীপুর - বরমী-মাওনা" গামী বাসে উঠলে সরাসরি বাঘের বাজার নামিয়ে দিবে।

পার্কের টিকেটঃ
বয়স্কদের জন্যঃ ৫০ টাকা।
বাচ্চাদের জন্যঃ ৫০ টাকা।
এভিয়ারীতে ঢুকতে আলাদা ১০ টাকার টিকেট লাগবে।

**সাফারী কার চালু হয়ে গেলে সেটার জন্য টিকেট পারহেড ১০০ টাকা।
বিঃ দ্রঃ পার্কে ঢুকেই মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হয়ে যেতে পারে, বিশাল এলাকাজুড়ে বিভিন্ন পশুপাখির মূর্তি আর ছবি। মনে হবে শিশুপার্ক মার্কা জায়গা, তবে মূল আকর্ষণ ভেতরে।হ্যাপী ট্র্যাভেলিং !!!

Nizam Uddin

ঢাকা থেকে একদিনে ঘুরে আসতে পারেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক । ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে অল্প দূরত্বে ৩৬৯০ একর জমির উপর এর অবস্থান । ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতের বামের রাস্তাটি ধরে সাফারি পার্ক বিশ মিনিটের পথ । বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত ইজিবাইক যাওয়া-আসা করে যার জনপ্রতি ভাড়া বিশ টাকা । রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা ও মাওনা চৌরাস্তার মধ্যবর্তী স্থানে বাঘের বাজারের অবস্থান । গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বাঘের বাজারের দূরত্ব বিশ কিলোমিটারের মত । আপনি গুলিস্থান থেকে ছেড়ে আসা শ্রীপুরগামী প্রভাতী বনশ্রী'র গাড়িতে উঠলে সরাসরি বাঘের বাজার নামতে পারবেন । মহাখালীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহ গামী যেকোন গাড়িতে উঠলেও বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড নামতে পারবেন । অথবা যেকোন গাড়িতে গাজীপুর চৌরাস্তা (চান্দনা চৌরাস্তা) নামলে বাঘের বাজার গামী অনেক গাড়ি পাবেন । প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা, দশ বছরের কমবয়সীদের জন্য ২০ টাকা । পিকনিক বা অন্য কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে - ০১৭৯০০৮৩৭০০
News Link : http://www.prothom-alo.com/we_are/article/80170/%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%AF
চৌরাস্তা থেকে বাস বা টেম্পো যাই হোক ভাড়া নেবে ২০ টাকা

Mohammad Maidul Islam Saad

বর্ণনা,খরচ ও যাতায়াতঃ

মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ যায় এমন যে কোন লোকাল বাসে করে যাবেন বলবেন গাজীপুর বাঘের বাজার নামবো।ভাড়াটা দামদর করে উঠবেন। আমি ৮০ টাকা দিছি সৌখিন এক্সপ্রেসে। বাঘের বাজার নেমে অটো করে পার্কের সামনে। প্রতিজন ২০ টাকা।ঢুকতে ৫০ টাকা। ঢুকেই ডানদিকে যাবেন।কিছুদুর গেলেই দেখবেন বাস।এসি বাসে উঠতে ১০০ টাকা নিবে। বাসে উঠে ১০ কি ১৫ মিনিটে দৌড়ের উপর আপনাকে জেব্রা,জিরাফ,হরিন,গরু,বাঘ আর সবশেষে সিংহ দেখাবে।অনেক তাড়াতাড়ি বাস চালায় তাই ভালো মত দেখা যায়না আর ছবি তোলা তো আরও কঠিন। বাস থেকে নেমে আরেকটু সামনের ডানের গেট দিয়ে ঢুকবেন। Parot Aviary থেকে ১০০ টাকা দিয়ে টিকেট নিবেন। এই টিকেট দিয়ে আপনি Parot Aviary, Marine aquarium, Carp Garden, Crown Pheasant, Hornbill Aviary n Boat Riding (15 min) এ যেতে পারবেন। প্রথমে Parot Aviary তে যেয়ে দেখবেন তারপর বের হয়ে Macaw Garden এ যেয়ে ৪০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটবেন আর এটা দিয়ে আপনি Macaw Garden, Butterfly Garden n Nature Histry Museam এ যেতে পারবেন। প্রথমে Parot Aviary (ছবি অবশ্যই তুলবেন তবে ওদের ধরবেননা আর যে লোকটা থাকে তাকে নাম জিজ্ঞেস করতে পারেন তবে সে নাম জানেনা কিন্তু ছোট একটা পিচচি থাকে ও সব জানে) তারপর Macaw Garden (এখানে যেয়ে Macaw হাতে নিয়ে ছবি তুলবেন অবশ্যই আর ছবি তুলতে ওইখানের লোকের সাহায্য নিবেন। আর হ্যাঁ Macaw এর নখের আঁচর আর ঠোকর থেকে সাবধান) তারপর Marine aquarium (এখানে সাধারন সব মাছ তবে aquarium এর বাইরে ছবি তুলতে পারেন) তারপর Butterfly Garden (এইখানে কিছুই নাই শুধু দুইটা প্রজাপতি দেখেছি) তারপর বের হয়ে ডিমের ঘর (এখানে যেয়ে মুরগী হাঁস সহ অনেক ডিম দেখবেন) । ডিম ঘর থেকে বের হয়ে হাতের বামে হাতি আর ডান পাশে রাস্তা দেখবেন। হাতির দিকে অবশ্যই যাবেন না। ডানের রাস্তা ধরে যাবেন আর এর পথেই পাবেন কুমিরের বাচচা সহ অনেক প্রকারের সাপ পাখি। এখানে Carp Garden পাবেন (ভিতরে ঢুকে খাবার খাওয়াবেন) তারপর হেটে হেটে সামনে যাবেন কিছুটা গেলে সামনে খাবারের দোকান পাবেন। দোকানের বাম পাশ দিয়ে গেলে অনেক পাখি সাপ বানর আর ঝুলন্ত ব্রিজ পাবেন (ব্রিজ দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ) তারপর শকুন দেখে সামনে যেয়ে অন্য সব দেখবেন সাথে ক্যাঙ্গারুর বাচ্চা ফ্রি দেখতে পাবেন।সবার শেষে নৌকায় উঠবেন (নৌকায় উঠে নির্ঘাত গালি দিবেন)। নৌকা থেকে নেমে জলহস্তি দেখে ডান দিকে হেটে আসবেন।আসলেই হাতি পাবেন। চাইলে হাতিতে উঠতে পারেন। ৩০ টাকা নিবে। তারপর বের হয়ে Nature Histry Museum এ যাবেন। যেখানে আপনি ভুল নাম আর ভুল তথ্যের ভাণ্ডার দেখবেন। এখান থেকে বের হয়ে বাঘ ও সিংহ পর্যবেক্ষণ রেস্তোরাতে যেতে পারেন। তারপর বের হয়ে ঢাকার পথে আসবেন। আসার রাস্তাও যাওয়ার রাস্তার মতই।

বিঃঃ দ্রঃঃ.
অবশ্যই মনে রাখবেন
১। বাঘ সিংহ দেখতে চাইলে অবশ্যই সকাল ১০ টার মাঝে যাবেন। কারন দুপুর ১২ টার পর যারাই গেছে কেউ বাঘ বা সিংহ দেখতে পারেনি।
২। সাথে পর্যাপ্ত পানি রাখবেন।
৩। প্রচুর হাঁটা লাগবে আর এটা মাথায় রাখবেন।
৪। খাবারের দাম গলা কাটা (তাই আমি কিছুই খাইনি)
৫। ডিম ঘর থেকে বের হয়ে হাতির দিকে গেলে আপনি বিপদে পরবেন কারন অনেক হাঁটা লাগবে আর পথ উল্টা তাই ডানের রাস্তা দিয়েই যাবেন দয়া করে।
6.সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার

আর হ্যাঁ সব মিলায় আমার খরচ গেছে ৬০০

Sunday, July 10, 2016

ঠাকুরগাঁও জেলা
জেলা পরিচিতি :
ভৌগলিক অবস্থান :
আয়তন : ১,৭৮১.৭৪ বর্গ কিলোমিটার।
উপজেলা (৫টি): ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী, ও হরিপুর।
নদী : টাঙ্গন নদী, নাগর নদী, কুলিক নদী, তীরনই নদী। অন্যান্য নদীসমূহ- পাথরাজ, ভুল্লী, দীপা, জুলেই এবং চুরামাটি ইত্যাদি ছোট নদী রয়েছে।
মেলা : কালিমেলা, রম্নহিয়া আজাদ মেলা, নেকমরদ মেলা।
দূর্যোগ প্রবণ এলাকা কিনা :

দর্শনীয় স্থান :

১.          নাম : ফানসিটি বিনোদন  শিশু পার্ক
কিভাবে যাওয়া যায় : পীরগঞ্জ উপজেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র পৌর অফিসের বিপরীতে পীরগঞ্জ__বীরগঞ্জ রাস্তার উত্তর পার্শ্বে (পুরাতন আরডিআরএস মোড়) বিনোদন পার্ক ফানসিটি অবস্থিত ।ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, বীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল থেকে সরাসরি সড়ক পথে ফানসিটি যাওয়া যায় ।
অবস্থান : পীরগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র পৌর অফিসের বিপরীতে পীরগঞ্জ --- বীরগঞ্জ সড়কের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত।

২.          নাম : জগদল বিরেন্দ্র নাথ চৌধুরীর পরিত্যাক্ত রাজবাড়ি
কিভাবে যাওয়া যায় : উপজেলা সদর হতে নেকমরদ জাতীয় মহাসড়ক ৯ কিঃ মিঃ, নেকমরদ হতে কাদিহাট বটতলী পাকা রাম্তা ৫ কিঃ মিঃ এবং বটতলী হতে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে জগদল রাজবাড়ি কাঁচা রাস্তা ৬ কি: মি:
অবস্থান : ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নাগর ও তীরনই নদীর মিলনস্থলে এবং জগদল বি.ও.পি ক্যাম্প সংলগ্ন বীরেন্দ্র নাথ চৌধুরীর পরিত্যাক্ত রাজবাড়িটি অবস্থিত।

৩.         নাম : রামরাই (রাণীসাগর)
কিভাবে যাওয়া যায় : ঢাকা থেকে বাস যোগে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় আসতে হবে। তারপরে বাস,ট্রাক,মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল,ভ্যান ও রিক্সা যোগে আসা যায়। ভ্যান ও রিক্সা ভারা (১৫-২০)টাকা।
অবস্থান : উপজেলা সদর থেকে ৪ কিঃ মিঃ দূরত্ব উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘী।

৪.          নাম : খুনিয়া দিঘী স্মৃতি সৌধ
কিভাবে যাওয়া যায় : ঢাকা থেকে বাস যোগে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় আসতে হাবে। তারপরে বাস,মাইক্রোবাস,মটরসাইকেল,ভ্যান-রিক্সা ইত্যাদিযোগে যাওয়া যায়।
অবস্থান : উপজেলা সদর থেকে মাএ সিকি মাইল দক্ষিণে পাকা রাস্তার সংলগ্ন খুনিয়া দিঘী।হোসেনগাও ইউনিয়ন পরিষদ পুরাতন অফিস সংলগ্ন।

৫.          নাম : রাণীশংকৈল (রাজা টংকনাথের) জমিদার বাড়ী
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রাণীশংকৈল উপজেলা সদর থেকে ১ কি:মি: দূরে অবস্থিত।

৬.         নাম : হরিপুর জমিদার বাড়ী
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত।

৭.          নাম : রাণী সাগর
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রাণীশংকৈল উপজেলা সদর থেকে ৪ কি:মি: দূরে অবস্থিত।

৮.         নাম : গোরক্ষনাথ মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে অবস্থিত।

৯.         নাম : রাজভিটা
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের হাটপাড়া নামক স্থানে অবস্থিত।

১০.        নাম : রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলার পূর্বপ্রান্তে কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত।

১১.        নাম : হরিপুর রাজবাড়ি
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত

১২.        নাম : জগদল রাজবাড়ি
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে জগদল নামক স্থানে অবস্থিত

১৩.       নাম : মহালবাড়ি মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলা হতে উত্তরে মীরডাঙ্গী থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত

১৪.        নাম : জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জ হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত

১৫.        নাম : শালবাড়ি মসজিদ ও ইমামবাড়া
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও উপজেলার পশ্চিমে ভাউলারহাটের নিকটে শালবনে অবস্থিত

১৬.       নাম : সনগাঁ শাহী মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ হাট থেকে দু কিলোমিটার উত্তরে সনগাঁ নামক গ্রামে অবস্থিত

১৭.        নাম : মেদিনীসাগর জামে মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলার উত্তরে মেদিনীসাগর গ্রামে মেদিনীসাগর জামে মসজিদটি অবস্থিত

১৮.       নাম : গেদুড়া মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নে অবস্থিত

১৯.        নাম : গোরক্ষনাথ মন্দির কূপ ও শিলালিপি
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে গোরকুই নামের একটি গ্রামে অবস্থিত

২০.        নাম : হরিণমারী শিব মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে দশ কিলোমিটার দূরে উত্তর পশ্চিমদিকে হরিণমারী হাটের উপর শিবমন্দিরটি অবস্থিত

২১.        নাম : রিপুর রাজবাড়ি শিব মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে ছোট তরফের রাজবাড়ির সামনে অবস্থিত

২২.        নাম : গোবিন্দনগর মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও শহরে টাঙ্গন নদীর পশ্চিম তীরে কলেজপাড়ায় গোবিন্দনগর মন্দিরটি অবস্থিত

২৩.        নাম : ঢোলরহাট মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে রুহিয়া যাওয়ার পথে ঢোলরহাট নামক স্থানে অবস্থিত

২৪.        নাম : ভেমটিয়া শিবমন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : পীরগঞ্জ পৌরসভা থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে ভেমটিয়া নামক স্থানে শিব মন্দিরটি অবস্থিত

২৫.        নাম : মালদুয়ার দুর্গ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলা হতে এক কিলোমিটার দক্ষিণে প্রাচীন দুর্গটি অবস্থিত

২৬.        নাম : গড়গ্রাম দুর্গ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলার প্রায় তের মাইল উত্তরে নেকমরদ হাট ও মাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে গড়গ্রামে দুর্গের ধ্বংসাবশেষটি অবস্থিত

২৭.        নাম : বাংলা গড়
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার উত্তরে এবং নেকমরদ থেকে প্রায় পাঁচকিলোমিটার পূর্বদিকে কাতিহার-পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এটি অবস্থিত

২৮.       নাম : গড় ভবানীপুর
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে ভারতীয় সীমান্তের সন্নিকটে ভাতুরিয়া নামক গ্রামে অবস্থিত

২৯.        নাম : গড়খাঁড়ি দুর্গ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেলতলা গ্রামে গড়খাঁড়ি দুর্গটি অবস্থিত

৩০.       নাম : কোরমখান গড়
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে প্রায় এগার কিলোমিটার উত্তরে টাঙ্গন ব্যারেজ থেকে দু'কিলোমিটার পূর্বে কোরমখান গড় অবস্থিত

৩১.       নাম : সাপটি বুরুজ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও উপজেলার ভুল্লীহাট থেকে দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে সাপটি বুরুজ অবস্থিত

৩২.        নাম : বাসনাহার আদর্শ গ্রাম পুকুর
কিভাবে যাওয়া যায় : উপজেলা থেকে বাসে অথবা ভ্যানে
অবস্থান : বাসনাহার আদর্শ গ্রাম ,ওয়ার্ড নং ০৩,লেহেম্বা ইইপ, রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও।

৩৩.       নাম : পীর নাছিরউদ্দীন শাহ্ এর মাজার শরীফ।
কিভাবে যাওয়া যায় : রাণীশংকৈল উপজেলা হইতে উত্তরে হাইওয়ে রাস্তা ১০কি:মি: পরে নেকমরদ । রাণীশংকৈল হতে বাস, অটোরিক্সা যোগে নেকমরদ যাওয়া যায়। নেকমরদ চৌরাস্তার পূর্বে মাজার শরীফটির অবস্থান।
অবস্থান : নেকমরদ চৌরাস্তার পূর্ব পার্শে মাজার শরীফটির অবস্থান।

৩৪.       নাম : বাংলাগড়
কিভাবে যাওয়া যায় : ঠাকুরগাও জেলা হতে পশ্চিমে ৪০কি:মি: পাকা রাস্তা রাণীশংকৈল উপজেলা, আবার রাণীশংকৈল উপজেলা হতে উত্তরে নেকমরদ ১০কি:মি:, নেকমরদ হতে বাংলাগড় ৭কি:মি: পুবে।
অবস্থান : গ্রাম:বাংলাগড়, ডাক:বাংলাগড়, উপজেলা:রাণীশংকৈল, জেলা:ঠাকুরগাঁও

৩৫.       নাম : গোরকই মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় : রাণীশংকৈল উপজেলা হইতে উত্তরে হাইওয়ে রাস্তা ৮কি:মি: কুমোড়গঞ্জ মোড়। কুমোড়গঞ্জ মোড় হতে পশ্চিমে কাঁচা রাস্তায় ৪কি:মি: দূরে গোরকই মন্দিরের অবস্থান।
অবস্থান : নেকমরদ ইউপির ৯নং ওয়ার্ডে গোরকই গ্রামে মন্দিরটির অবস্থান।

৩৬.       নাম : ছোট রাণীদিঘী
কিভাবে যাওয়া যায় : রাণীশংকৈল থেকে ভ্যান , সাইকেল, পায়ে হেটে যাওয়া যায়।
অবস্থান : রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের শিয়াল ডাঙ্গীতে অবস্থিত

৩৭.       নাম : রাজভিটা
কিভাবে যাওয়া যায় : জাবরহাট বাজার হতে বাসে অথবা ভেনে অথবা যে কোন যানবাহানে অতি সহজে রাজভিটা যাওয়া যায় । অবস্থান হাটপাড়া ইউনিয়ন জাবরহাট ।
অবস্থান : অবস্থান হাটপাড়া ইউনিয়ন জাবরহাট ।

৩৮.       নাম : শ্রী শ্রী গঙ্গা স্নান মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় : জাবরহাট বাজার হতে পায়ে হাটে অথবা ভেনে অথবা গাড়িতে করে যাওয়া যায় ।
অবস্থান : জাবরহাট গ্রামের খাড়িপাড়া সংল্গন্ন

৩৯.       নাম : রনশিয়া চন্দ্রা ও দানাজপুর বর্ডার
কিভাবে যাওয়া যায় : বিশ্ব রোডের পার্শ্বেই সুতরাং যে কোন পরিবহনে যাওয়া যায় ।জাবরহা ইউ.পি. ভবন হতে ৭ কি,মি পশ্চিমে রনশিয়া চন্দ্রা দানাজপুর বর্ডার অবস্থিত ।এই স্থানটি রনশিয়া গ্রামেই অবস্থিত ।
অবস্থান : বিশ্ব রোডের পার্শ্বেই সুতরাং যে কোন পরিবহনে যাওয়া যায় ।জাবরহা ইউ.পি. ভবন হতে ৭ কি,মি পশ্চিমে রনশিয়া চন্দ্রা দানাজপুর বর্ডার অবস্থিত ।এই স্থানটি রনশিয়া গ্রামেই অবস্থিত ।

যোগাযোগ ব্যবস্থা :
ট্রেন :
বাস : ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসতে হলে মহাসড়ক পথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর এবং দিনাজপুর জেলা হয়ে আসতে হয়। ৭টি বিলাসবহুল পরিবহনের গাড়ী ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে চলাচল করছে। কয়েকটি উপজেলা হতে ঢাকায় সরাসরি যাওয়ার জন্য বিলাসবহুল পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদরের সাথে সকল উপজেলার পাকা সড়ক পথে যোগাযোগ রয়েছে।
১. হানিফ এন্টারপ্রাইজ - ভাড়া : ৫৫০-৬০০/- টাকা (ঢাকা - ০১৬৭৩-৯৫২৩৩৩, ঠাকুরগাঁও - ০১৭১৩-২০১৭০৪)
২. নাবিল পরিবহন - ভাড়া : ৫৫০-৬০০/- টাকা (ঢাকা - ০২-৮১২৭৯৪৯, ঠাকুরগাঁও - ০১৭৪২৫৫৪৪২২)
৩. বাবলু এন্টারপ্রাইজ - ভাড়া : ৫৫০-৪০০/- টাকা (ঢাকা - ০১৭১৬-৯৩২১২২, ঠাকুরগাঁও - ০১৭১৪-০৪৬২৯৮)
৪. কেয়া পরিবহন - ভাড়া : ৩৫০-৪০০/- টাকা (ঢাকা - ০১৭১১-১১৮৪০২, ঠাকুরগাঁও - ০১৭১৫-৭১৭৯০৭)

আবাসন : হোটেল সালাম ইন্টার ন্যাশনাল, নর্থ সার্কুলার রোড, ঠাকুরগাঁও (ফোন - ০৫৬১-৫২২৪৬), হোটেল প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল, নর্থ সার্কুলার রোড, ঠাকুরগাঁও (ফোন - ০৫৬১-৫৩৫০৫), হোটেল সাদেক, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও, (ফোন - ০৫৬১-৫২১৯৭), হোটেল/আবাসিক, বন্দর বাজার, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও, (ফোন - ০১৭১৭২১৯৮৪৩), মানব কল্যাণ পরিষদ, মানব কল্যাণ পরিষদ,ঠাকুরগাঁও , (ফোন - (০৫৬১)৫২২২২)।
ঠাকুরগাঁও জেলা