Tuesday, July 5, 2016

ঝর্নার খোঁজে পাথারিয়ার পাহাড়ে
পরিকল্পনা ছিলো সিলেট বিভাগ এর সবচেয়ে উঁচু স্থান কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়ায় ৩৫০ মিটার উচ্চতার কালাপাহাড় সামিট করব । এই উদ্দেশ্যেই কুলাউড়ার বাসের টিকেট নেয়া হয়।এমন সময় ছোট ভাই অরণ্য ধ্রুবের কাছে পাথারিয়া পাহাড়ের ঝর্ণার মনোমুগ্ধকর ছবি দেখে তাৎক্ষণিক কালাপাহাড় পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ট্যুর গ্রুপ বিডির সদস্যরা ঝর্ণার পানে ছোটার পরিকল্পনা গ্রহণকরে ।সিদ্ধান্ত হয় কুলাউড়া নেমে আমারা দক্ষিণ ভাগ হয়ে সামনবাগ বিট থেকে পাথারিয়া পাহাড়ের ঝর্ণা দেখার অভিযান শুরু করব।পাথারিয়া পাহাড় মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত, যার পূর্ব নাম "আদম আইল"। ধারণা করা হয়, এই পাহাড়ের জন্ম মায়োসিস কালের মধ্য ভাগে, অর্থাৎ প্রায় কুড়ি লক্ষ বছর আগের। উল্লেখ্য এই পাহাড়ের উপর থেকে পতিত পানিতেই সৃষ্টি হয়েছে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত।এই পাহাড়টি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ৮ নম্বর দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের অধীন গৌরনগর মৌজার অন্তর্গত। এই পাহাড় কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে ৩২ কিলোমিটার এবং কাঁঠালতলী থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।প্রায় এক হাজার বছর আগে এই অঞ্চলটি গভীর অরণ্য দ্বারা পূর্ণ ছিলও এবং এখানে "পাথরি" নামক নাগা জনগোষ্ঠীর একটি উপশাখার অধিবাসীরা বসবাস করত; কালক্রমে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর নামের সাথে মিল থেকে এই অরণ্য অঞ্চলের নাম 'পাথারিয়া' হয় ।
এই পাহাড়টি ২৪ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। এটি বাংলাদেশের সাথে ভারতের পূর্ব দিকের সীমান্তবর্তী খাসিয়া-জয়ন্তীয়া উচ্চভূমির একটি বর্ধিত অংশ যার অপর অংশ ভারতের আসামে এর মধ্যে বাংলাদেশের পাথারিয়া পাহাড়ের অংশটুকু মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ি ও কুলাউড়া উপজেলার পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।এখানে আছে উল্লেখযোগ্য তিনটি শৃঙ্গ। যথা দূরবীন টিলা, গগণ টিলা ও রাজবাড়ী টিলা ইত্যাদি। এগুলোর উচ্চতা প্রায় ২৪৪ মিটার। প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে এই বনাঞ্চলকে তিনটি বিটে বিভক্ত করা হয়েছে এগুলো হলও- ক. বড়লেখা বিট, খ. মাধব-ছড়া বিট, গ. সমনবাগ বিট। তিনটি বিটের মোট ভূমির পরিমাণ ৯১৮৭.৫৫ একর।(তথ্য: উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে)
চল্লিশের দশকে পাথারিয়া পাহাড়ের কি অবস্থা ছিল উদ্ভিদ বিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মার জবানিতে তা এভাবে ফুটে ওঠে- ‘আমাদের গাঁ থেকে পাথারিয়া পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চল পর্যন্ত চার মাইল দীর্ঘ গোটা পথটি গাছগাছালিতে নিবিড় ছিল, কাঠালতলী স্টেশন পেরিয়ে মাইল খানেক পূর্বে গেলেই বনমোরগ, তিতির, শ্যামা, ভিমরাজ, বানর দেখা যেত। আরেকটু এগোলেই শোনা যেত হনুমানদের একঘেয়ে জিগির, দৈবাৎ হরিণের ডাক। পাহাড়ের হরিণ খাওয়ার লোভে বাঘ পাহাড়ের নিচে জনারণ্যে চলে আসত। পাহাড়ে বাঘের অবস্থা ছিল অনেকটা গ্রামের শেয়াল দেখার মতোই।একসময় পাহাড়ের দক্ষিণপ্রান্তে খেদা করে ধরা হতো হাতি। এজন্য এর নাম রাখা হয় গজভাগ। এক সময়ে বড়লেখার আদিত্য পরিবারের তত্ত্বাবধানে গজভাগ থেকে হাতি ধরে মুর্শিদাবাদ ও দিল্লিতে চালান দেওয়া হতো। অন্যরা গজভাগ শিকার করতে প্রস্তুত করতো ঢাল। তা চালান দিতো পুরো ভারতে। পাথারিয়া পাহাড়ে তেল খনি এবং বেশ ক’টি লবণ খনিও ছিল ।
অন্য সব জীব জন্তুর প্রকোপ কালের গর্ভে হাইরে গেলেও হাতির প্রকোপ কিন্তু এখনো রয়েছে ।আমরা যখন সামনবাগ বিটে চলে আসি তখন সকাল ৯.৪৫ । এখানে খাবারের কোন হোটেল নেই বিধায় ধ্রুবের বাসাথেকে দুপুরে খাবার জন্য ডিম সিদ্ধ ,পানি এবং বিস্কুট নেই । আমরা ঢাকা থেকে এসেছি ৬ জন, সকালে ৩ জন আরও যোগ হয় ,সিলেট থেকে ধ্রুবের সাথে আসে প্রথমআলোর ফোট সাংবাদিক আনিস ভাই ও প্রকৃতি প্রেমী মামুন ভাই । আর গাইড হিসেবে আছে দীনেশের নেতৃত্বে চঞ্চল ,পাপন,গোপাল এবং আরও দুইজন এই মোট ১৭ জনের টিম আমাদের।
সবুজ স্নিগ্ধ চাবাগানের পথ দিয়ে আমাদের হাটা শুরু করার কিছুক্ষন পরেই (কাল নাগিন) বিষধর সাপের দেখা পেলাম।বুঝে নিলাম আজ সারাদিন দারুণ সব এডভেঞ্চার অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। চাবাগানের শ্রমিকরা যাচ্ছে একই পথ ধরে আমাদের সাথে সাথে । যাচ্ছে তাদের কাজে । পথচারীদের কেউ কৌতূহল বসত জিজ্ঞেস করছে আমারা দলবল নিয়ে যাই ? কই জবাবে ধ্রুব জানিয়ে দেয় পাহাড়ে যাচ্ছি ঝর্ণা দেখতে ।শুনেই পথচারীদের ঘোর আপত্তি ।ঐদিকে যাবেন না বন্য হাতি আছে ,খুবই ভয়ংকর, গত কালই একজনকে মেরে ফেলেছে।আমারা সাবধানে থাকব আস্যস্থ করে হাটার গতি আগের মতই রাখলাম।চাবাগান পেরিয়ে এসে বনে প্রবেশ করলাম ঝিরিতে নামতেই দেখতে পেলাম বিশাল আকৃতির হাতির পায়ের চিহ্ন।দলে তিনটি হাতি থাকতে পারে বলে মনে হল । মনে ভয় ঢুকলেও অভিযাত্রীদের কেউ দমবার পাত্র ছিল না । ঝিরি পথের ভেতর দিয়ে হাটতে হাটতে ক্রমশই ঘন বাঁশবনের ভেতর ঢুকে পরেছি আমারা ।এক পর্যায়ে মাথা নুয়ে চলাচল করা শুরু হল সবার । পেয়ে গেলাম প্রথম ঝর্ণার দেখা ।
উপর থেকে ঝুর ঝুর করে পরছে পানি । ঝর্ণার নাম ঝুরঝুরি ঝর্ণা , ঝুরঝুরি ঝর্ণা ছোট আকৃতির ঝর্ণা সম্বাব্য ১১ ফিট উচ্চতা থেকে পানি পরছে অনর্গল ।অভিযাত্রীদের কয়েক জন নেমে পরল ঝর্নার শীতল পানিতে গোসলে । গোসল ফটোগ্রাফির পালা শেষ করে আমাদের নেক্সট লক্ষ বান্দরডুবাকুম ঝর্ণার দিকে যাত্রা শুরু করলাম। ঝিরি পথে কিছুদূর গিয়ে এইবার আমাদের পাহাড়ি পথ ধরতে হল । গাইডদের এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে চঞ্চল । ছেলেটার পথ চেনার/বুঝার ক্ষমতা অস্বাভাবিক ভাল । বান্দরবনে আমারা যেই ট্র্যাকিং গুলা করে থাকি সেখানে মোটামুটি হাটার রাস্থা বুঝা যায়। কিন্তু এইখানে এই রকম কিছু নেই । জুম চাষিরা ছাড়া এই পাহাড়ে কেউ আসে না সাধারণত । নেই কোন পাড়া ।
প্রায় ৪৫ মিনিট বিরামহীন হাটার পর আমারা কালাপাহাড়ের এক অংশে চলে আসি এখান থেকে আবার ঝিরি পথে হাটা । সামনে বিশাল বিশাল পাথর ডিঙিয়ে আমারা পৌঁছএগেলাম বান্দারডুবাকুম ঝর্ণার উপরিভাগে । এই ঝর্ণার আকৃতি লম্বাটে বোতলের মত ।প্রকৃতিগত ভাবেই এটি সুরক্ষিত ঝর্ণা । দূর থেকে দেখতে হয় ।কাছে গিয়ে গোসলের কোন উপায় নেই । আর জায়গাটা ভয়ংকর পিচ্ছিল ।বান্দরডুবাকুম থেকে আমারা এইবার যাত্রা শুরু করলাম পাইথুং এর পানে ।এটি দেখতে অনেকটা ডাবল ফলসের মত । ১২/১৩ ফিট উচ্চতা থেকে পানি পরছে ।গোসলের জন্য উপযুক্ত ঝর্ণা ক্যাননা এই ঝর্ণার পানি সৃষ্টি করেছে এক মানুষ গভীরের বড়সড় গর্ত ।এই ঝর্নায় আমারা যখন পোউছে গেছি তখন বেলা ২টা । খুদায় অবস্থা কাহিল । তাই ডিম আর বিস্কুট দিয়েই দুপুরের খাবারের ঝামেলা সেরে ফেললাম । বান্দরডুবাকুম থেকে সোজা গিয়ে হাতের বামে গিয়েই পাইথুং ।সোজা যেই রাস্তা গিয়েছে এই পথে গেলে আরও বড়সড় একটা ঝর্ণা পাওয়া যেতে পারে বলে আমার বিশ্বাস । রাস্তা দুর্গম । আমারা ফিরে চললাম একই পথে, আবারো পাহাড়ে উঠা ।প্রচণ্ড গরম এখন অভিযাত্রীদের অনেকেই ক্লান্ত মুখের অবস্থা দেখেই বুঝা যাচ্ছে । এই অঞ্চলে এত খারা পাহাড় আছে তা কাররই ধারণায় ছিল না । প্রয়োজনীয় পানির বোতল ও সবাই নিয়ে আসে নাই । বাকি খাবারের কথা বাদ ই দিলাম । কিন্তু সূন্দরজের টানে চলছি সবাই একমাত্র মনের জোরে ।
এইবার চলছি পুছুম ঝর্ণার উদ্দেশ্যে । এই ঝর্ণার ছবি দেখেই আমাদের এই অভিযানে আসা ।এই ঝর্নায় পানি অনেক উঁচু থেকে পড়ে এবং আকৃতি বেশ বড় ।বেলা যখন ৪ টা তখন আমারা আমারা পৌছাতে পারলাম পুছুম ঝর্নাতে । অনেক উঁচু ঝর্ণা গুলতে একেবারে বর্শার সিজন ছাড়া পানি বেশী থাকে না ে ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম পেলাম না । কিন্তু জায়গাটা মারাত্মক সুন্দর । পানির ফ্লো থাকবে অনেক , সবাই প্রতিজ্ঞা করলাম অন্তত এই ঝর্ণার ফ্লো দেখতে হলেও বর্ষায় আবার আসব । সময় বেশী নেই বাকি রয়েগেছে রজনিকুন্ড ঝর্না ।খাসিয়া গ্রাম পড়ল পথে তার মানে আমারা লোকালয়ের কাছাকাছি চলে এসেছি । চাবাগানে নির্দেশক ব্যানার দেখতে পেলাম মাধবছরা বিট ।এইবার এইপথে আর কোন পাহাড় নেই শুধুই ঝিরি পথ । সুনে মনে আনন্দ খেলে গেল । সারাদিন প্রচুর হাটাহাটি হয়েছে । রেস্ট বলতে একবার মাত্র ৫ মিনিটের জন্য বসেছিলাম ।জোঁকের ভয় ছিলো বিধায় কেউ শান্তিমত বসে নাই । অনেকেই বেশ কয়েকবার জোকে ধরেছে ।
যাই হোক ঝিরিপথে হাটা সুখের বিষয় এটি আমার সবসময়ের ভাবনা ছিলো কিন্তু এইবার তার বিপরীত হল । ঝিরিপথে এত বিশাল বিশাল পাথর দেখে মনে হয় কিসের হামহাম ঝর্ণা কিসের সিকাম তইসা ঝর্না । সবগুলার বাপ এই ঝিরি পথ । এত বিশাল পাথর তার উপর গ্রিফ করার যায়গা নাই । সবই পিচ্ছিল । আমি ২বার আছার খেলাম । হাঁটুতে পেলাম ব্যথা ।অন্য সবার অবস্থাও একই । আনিস ভাইয়ের অবস্থা আল্লাহ চায় নাই বিধায় খারাপ হয়নাই । তিনি মারাত্মক ভাবে উল্টে পরেছিলেন । অবশেষে আমারা পোউছে গেলাম রজনিকুন্ড ঝর্নায় । সম্ভবত আমারাই প্রথম ঢাকা থেকে এসেছি এই ঝর্নায় । এইটিও অনেক উঁচু থেকে পরছে । কিন্তু পানির ধারা খারাপ না বেশ ভালই । আরেক তরফা গোসল সেরে নিলাম সবাই । ঝর্নায় নেমে চিল্লা চিল্লিও হল বেশ । এমন একটা কষ্টের অর্জনে একটু চিল্লা চিল্লি “ইয়েস, উই ডিড ইট” টাইপের কথা বার্তা না বললে হয় ? । ঝর্নায় গোসল সেরে গাইড চঞ্চলকে জিজ্ঞেস করলাম বিকল্প কোন পথ আছে নাকি ফেরার । উত্তর আসল পাহাড়ে উঠতে হবে এরপর চা বাগান । সন্ধ্যে হয়ে আসছে তাই আর ঝিরি পথে হাটতে কেউ সায় দিল না । পাহাড়ে উঠতে গিয়ে দেখলাম এইটি আরও কঠিন বিষয় হয়েছে ।কি আর করা নিজেরাই পাহাড়ে পথ করে চললাম। এত খারা পাহাড়ে সেন্ডেল কাজে দিচ্ছে না দেখে হাতে নিতে হল। পায়ের ব্রিদ্ধা আঙুল দিয়ে মাটি খামছে ধরে আস্তে আস্তে উঠে পরলাম খাড়া পাহাড় ।আসলে সারাদিনের পাহাড়, পাথর বেয়ে উঠার অভিজ্ঞতা কাজে লাগল এই যাত্রায় ।
গল্প আর বাড়াবো না শুধু এইটুকু বলব সারাদিন একটানা হাঁটুনির ফসল ৫ টি অপরূপ ঝর্না। ছিল বন্য হাতির ভয় ,পথ ভুল হবার অসংখ্য । কিন্তু গাইড থেকে শুরু করে সবার বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত আমাদের সফল একটি দিন উপহার দেয়। বলতে গেলে ট্র্যাকিং এ আমার সেরা দিন ছিলো এটি । সম্ভব হলে এই বছরই আবার যাব শিমুলিয়া,ডিমাই এবং রাগনা অভিযানে । দেখি নতুন কি আপনাদের দেখাতে পাড়ি ।
সাথে যেতে চাইলে ট্যুর গ্রুপ বিডি এর নেক্সট ইভেন্টে চোখ রাখুন ইভেন্ট লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/groups/TourgroupBd/events/----------------------------------------------- ----------------------------------------------- যাতায়াত: ঢাকা থেকে ট্রেনে-বাসে দুই মাধ্যমেই যাওয়া যায়। ট্রেনে যেতে চাইলে: কমলাপুর থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর ট্রেনে কুলাউড়ায় নেমে তারপর বাসে অথবা সিএনজি নিয়ে বড়লেখায় নেমে ডিমাই হয়ে পাথারিয়ায় যেতে হবে। ভারা: শোভন চেয়ার ৩০০ টাকা । বাসে যেতে হলে: ফকিরাপুল-সায়দাবাদ থেকে রূপসী বাংলা, শ্যামলী পরিবহন এবং মহাখালী থেকে এনা পরিবহনেও যেতে পারেন। ভারা: ৫০০ টাকা (নন এসই বাস) । এছাড়া লোকাল ট্রান্সপোর্ট এর সাহায্যে শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার থেকেও সহজেই পাথারিয়া আসাজায়। শ্রীমঙ্গল সদর থেকে এর দুরুত্ত ৭২ কিলোমিটার, মৌলভীবাজার জেলা থেকে দুরুত্ত ৭০ কিলোমিটার।
থাকার ব্যাবস্থাঃ(কুলাউড়াতে) সাউথ সাইডঃ (উত্তর বাজার,কুলাউড়া) এসি ডাবল ১৫০০ টাকা ফ্যামিলি রুম ২০০০ টাকা নন এসি ডাবল ৮০০ টাকা সাধারণ রুম: ৪০০ টাকা যোগাযোগঃ০১৭১১০৭৬৮৪৬ অথবা ০১৭১১৪৬১৬০৯ ।
হানিফ হোটেল: ০১৭১৬৩৮৭৫৩৬ ।
খাবার জন্য রয়েছে ছামি ইয়ামী,পাকশি ও ইস্টার্ন রেস্টুরেন্ট । -------------------------------------- বিঃদ্রঃ ছবি এবং লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করিলেই >ফাটাবো হাড্ডি বানবো গুড্ডি ।।

Collected

No comments:

Post a Comment