Monday, July 11, 2016

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, গাজীপুর
NOVEMBER 25, 2013
Shyikh Mahdi

শর্ট ডে ট্যুরঃ বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, গাজীপুর !!!চান্স পেয়ে আজকেই ঘুরে আসলাম বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক থেকে। পার্কের কাজ ৬০% শেষ হয়েছে, পুরোটা শেষ হবে ২০১৬ নাগাদ। নেহায়েত খারাপ লাগল না। তবে সাফারী পার্কের মূল আকর্ষণ - সাফারী কার, সেটা এখনও চালু হয়নি তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই হয়ে যাবে। বাঘ সিঙ্গি মামারা তাই আপাতত খাঁচায় আটক আছেন।ঠিক এখন জায়গাটার যেই চেহারা, সেটাকে ইনফরম্যাল একটা চিড়িয়াখানা বললেই ভাল হয়। তবে খুব নিরিবিলি, এই যা শান্তি। চুপচাপ দাঁড়িয়ে প্রাণীগুলোকে দেখা যায়। তবে বাঙ্গালীর খাসলত তো আর পাল্টায় না। পার্কে ঢোকার সময় গেটের দারোয়ান বলেছিলো, পিস্তল নিয়ে ঢুকলে ঢোকেন কিন্তু কোন খাবার টাবার নিয়ে ঢোকা যাবে না। তারপরও কুমিরের পুকুরে, লিজার্ডদের খাঁচায় জুস আর পানির বোতল, বিস্কিটের প্যাকেট দেখে অবাক হতে হয়েছে, কষ্ট পেয়েছি তার চেয়েও বেশি। এভিয়ারীটা জটিল জায়গা। আমাজানের ম্যাকাও পাখিটা টিভিতেই দেখতাম, এইবার সুযোগ হলো ছুয়ে দেখার। তবে ঠোঁটের ধার দেখে ঘাড়ে নেয়া হলো না। হোয়াইট নেক ঈগল দেখে ভালোই লাগল, আর পেলিক্যান পাখি বেশিই সুন্দর। পার্কে সাফারী হবে বেসিক্যালী তিন রকমের। টাইগার-লায়ন সাফারী তো আছে, আফ্রিকান সাফারী আছে যেটা হবে মূলত জিরাফ, জেব্রা, ওয়াইল্ডবিস্ট আর জলহস্তীর সাথে। একটা এশিয়ান সাফারীও আছে, সেটা চালু হয়নি। বলা হচ্ছে এটা এশিয়ার বৃহত্তম সাফারী পার্ক। কাগজে কলমে কথাটা ঠিক, তবে আকর্ষণ কেমন সেটা ফুল সুইং এ চালু হলেই বোঝাযাবে।

যারা যেতে চানঃ পার্কের অবস্থানটি হলো বাঘের বাজার, ময়মনসিংহ রোড, শ্রীপুর, গাজীপুর।এখানে যেতে হলে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে গাজীপুর চৌরাস্তায় আসতে হবে। চৌরাস্তা মাওনা বা ময়মনসিংহ গামী যেকোন বাস বা টেম্পোতে করে বাঘের বাজার নামতে হবে, ভাড়া নেবে ২০ টাকা এরপর সেখান থেকে শেয়ারড অটো বা ট্যাক্সি বা রিকশা ভ্যানে ২০ টাকা নিবে, পার্কের গেটে নামিয়ে দিবে। আর নিজেদের গাড়ী থাকলে তো কথাই নেই, টান দিয়ে চলে যান সরাসরি। ঢাকার মহাখালি বাসস্ট্যান্ড এর বিপরীত দিক থেকে "ক্রাউন ডিলাক্স-ডাউন টাউন", "প্রভাতী - বনশ্রী এর শ্রীপুর - বরমী-মাওনা" গামী বাসে উঠলে সরাসরি বাঘের বাজার নামিয়ে দিবে।

পার্কের টিকেটঃ
বয়স্কদের জন্যঃ ৫০ টাকা।
বাচ্চাদের জন্যঃ ৫০ টাকা।
এভিয়ারীতে ঢুকতে আলাদা ১০ টাকার টিকেট লাগবে।

**সাফারী কার চালু হয়ে গেলে সেটার জন্য টিকেট পারহেড ১০০ টাকা।
বিঃ দ্রঃ পার্কে ঢুকেই মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হয়ে যেতে পারে, বিশাল এলাকাজুড়ে বিভিন্ন পশুপাখির মূর্তি আর ছবি। মনে হবে শিশুপার্ক মার্কা জায়গা, তবে মূল আকর্ষণ ভেতরে।হ্যাপী ট্র্যাভেলিং !!!

Nizam Uddin

ঢাকা থেকে একদিনে ঘুরে আসতে পারেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক । ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে অল্প দূরত্বে ৩৬৯০ একর জমির উপর এর অবস্থান । ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতের বামের রাস্তাটি ধরে সাফারি পার্ক বিশ মিনিটের পথ । বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত ইজিবাইক যাওয়া-আসা করে যার জনপ্রতি ভাড়া বিশ টাকা । রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা ও মাওনা চৌরাস্তার মধ্যবর্তী স্থানে বাঘের বাজারের অবস্থান । গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বাঘের বাজারের দূরত্ব বিশ কিলোমিটারের মত । আপনি গুলিস্থান থেকে ছেড়ে আসা শ্রীপুরগামী প্রভাতী বনশ্রী'র গাড়িতে উঠলে সরাসরি বাঘের বাজার নামতে পারবেন । মহাখালীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহ গামী যেকোন গাড়িতে উঠলেও বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড নামতে পারবেন । অথবা যেকোন গাড়িতে গাজীপুর চৌরাস্তা (চান্দনা চৌরাস্তা) নামলে বাঘের বাজার গামী অনেক গাড়ি পাবেন । প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা, দশ বছরের কমবয়সীদের জন্য ২০ টাকা । পিকনিক বা অন্য কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে - ০১৭৯০০৮৩৭০০
News Link : http://www.prothom-alo.com/we_are/article/80170/%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%AF
চৌরাস্তা থেকে বাস বা টেম্পো যাই হোক ভাড়া নেবে ২০ টাকা

Mohammad Maidul Islam Saad

বর্ণনা,খরচ ও যাতায়াতঃ

মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ যায় এমন যে কোন লোকাল বাসে করে যাবেন বলবেন গাজীপুর বাঘের বাজার নামবো।ভাড়াটা দামদর করে উঠবেন। আমি ৮০ টাকা দিছি সৌখিন এক্সপ্রেসে। বাঘের বাজার নেমে অটো করে পার্কের সামনে। প্রতিজন ২০ টাকা।ঢুকতে ৫০ টাকা। ঢুকেই ডানদিকে যাবেন।কিছুদুর গেলেই দেখবেন বাস।এসি বাসে উঠতে ১০০ টাকা নিবে। বাসে উঠে ১০ কি ১৫ মিনিটে দৌড়ের উপর আপনাকে জেব্রা,জিরাফ,হরিন,গরু,বাঘ আর সবশেষে সিংহ দেখাবে।অনেক তাড়াতাড়ি বাস চালায় তাই ভালো মত দেখা যায়না আর ছবি তোলা তো আরও কঠিন। বাস থেকে নেমে আরেকটু সামনের ডানের গেট দিয়ে ঢুকবেন। Parot Aviary থেকে ১০০ টাকা দিয়ে টিকেট নিবেন। এই টিকেট দিয়ে আপনি Parot Aviary, Marine aquarium, Carp Garden, Crown Pheasant, Hornbill Aviary n Boat Riding (15 min) এ যেতে পারবেন। প্রথমে Parot Aviary তে যেয়ে দেখবেন তারপর বের হয়ে Macaw Garden এ যেয়ে ৪০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটবেন আর এটা দিয়ে আপনি Macaw Garden, Butterfly Garden n Nature Histry Museam এ যেতে পারবেন। প্রথমে Parot Aviary (ছবি অবশ্যই তুলবেন তবে ওদের ধরবেননা আর যে লোকটা থাকে তাকে নাম জিজ্ঞেস করতে পারেন তবে সে নাম জানেনা কিন্তু ছোট একটা পিচচি থাকে ও সব জানে) তারপর Macaw Garden (এখানে যেয়ে Macaw হাতে নিয়ে ছবি তুলবেন অবশ্যই আর ছবি তুলতে ওইখানের লোকের সাহায্য নিবেন। আর হ্যাঁ Macaw এর নখের আঁচর আর ঠোকর থেকে সাবধান) তারপর Marine aquarium (এখানে সাধারন সব মাছ তবে aquarium এর বাইরে ছবি তুলতে পারেন) তারপর Butterfly Garden (এইখানে কিছুই নাই শুধু দুইটা প্রজাপতি দেখেছি) তারপর বের হয়ে ডিমের ঘর (এখানে যেয়ে মুরগী হাঁস সহ অনেক ডিম দেখবেন) । ডিম ঘর থেকে বের হয়ে হাতের বামে হাতি আর ডান পাশে রাস্তা দেখবেন। হাতির দিকে অবশ্যই যাবেন না। ডানের রাস্তা ধরে যাবেন আর এর পথেই পাবেন কুমিরের বাচচা সহ অনেক প্রকারের সাপ পাখি। এখানে Carp Garden পাবেন (ভিতরে ঢুকে খাবার খাওয়াবেন) তারপর হেটে হেটে সামনে যাবেন কিছুটা গেলে সামনে খাবারের দোকান পাবেন। দোকানের বাম পাশ দিয়ে গেলে অনেক পাখি সাপ বানর আর ঝুলন্ত ব্রিজ পাবেন (ব্রিজ দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ) তারপর শকুন দেখে সামনে যেয়ে অন্য সব দেখবেন সাথে ক্যাঙ্গারুর বাচ্চা ফ্রি দেখতে পাবেন।সবার শেষে নৌকায় উঠবেন (নৌকায় উঠে নির্ঘাত গালি দিবেন)। নৌকা থেকে নেমে জলহস্তি দেখে ডান দিকে হেটে আসবেন।আসলেই হাতি পাবেন। চাইলে হাতিতে উঠতে পারেন। ৩০ টাকা নিবে। তারপর বের হয়ে Nature Histry Museum এ যাবেন। যেখানে আপনি ভুল নাম আর ভুল তথ্যের ভাণ্ডার দেখবেন। এখান থেকে বের হয়ে বাঘ ও সিংহ পর্যবেক্ষণ রেস্তোরাতে যেতে পারেন। তারপর বের হয়ে ঢাকার পথে আসবেন। আসার রাস্তাও যাওয়ার রাস্তার মতই।

বিঃঃ দ্রঃঃ.
অবশ্যই মনে রাখবেন
১। বাঘ সিংহ দেখতে চাইলে অবশ্যই সকাল ১০ টার মাঝে যাবেন। কারন দুপুর ১২ টার পর যারাই গেছে কেউ বাঘ বা সিংহ দেখতে পারেনি।
২। সাথে পর্যাপ্ত পানি রাখবেন।
৩। প্রচুর হাঁটা লাগবে আর এটা মাথায় রাখবেন।
৪। খাবারের দাম গলা কাটা (তাই আমি কিছুই খাইনি)
৫। ডিম ঘর থেকে বের হয়ে হাতির দিকে গেলে আপনি বিপদে পরবেন কারন অনেক হাঁটা লাগবে আর পথ উল্টা তাই ডানের রাস্তা দিয়েই যাবেন দয়া করে।
6.সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার

আর হ্যাঁ সব মিলায় আমার খরচ গেছে ৬০০

Sunday, July 10, 2016

ঠাকুরগাঁও জেলা
জেলা পরিচিতি :
ভৌগলিক অবস্থান :
আয়তন : ১,৭৮১.৭৪ বর্গ কিলোমিটার।
উপজেলা (৫টি): ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী, ও হরিপুর।
নদী : টাঙ্গন নদী, নাগর নদী, কুলিক নদী, তীরনই নদী। অন্যান্য নদীসমূহ- পাথরাজ, ভুল্লী, দীপা, জুলেই এবং চুরামাটি ইত্যাদি ছোট নদী রয়েছে।
মেলা : কালিমেলা, রম্নহিয়া আজাদ মেলা, নেকমরদ মেলা।
দূর্যোগ প্রবণ এলাকা কিনা :

দর্শনীয় স্থান :

১.          নাম : ফানসিটি বিনোদন  শিশু পার্ক
কিভাবে যাওয়া যায় : পীরগঞ্জ উপজেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র পৌর অফিসের বিপরীতে পীরগঞ্জ__বীরগঞ্জ রাস্তার উত্তর পার্শ্বে (পুরাতন আরডিআরএস মোড়) বিনোদন পার্ক ফানসিটি অবস্থিত ।ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, বীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল থেকে সরাসরি সড়ক পথে ফানসিটি যাওয়া যায় ।
অবস্থান : পীরগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র পৌর অফিসের বিপরীতে পীরগঞ্জ --- বীরগঞ্জ সড়কের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত।

২.          নাম : জগদল বিরেন্দ্র নাথ চৌধুরীর পরিত্যাক্ত রাজবাড়ি
কিভাবে যাওয়া যায় : উপজেলা সদর হতে নেকমরদ জাতীয় মহাসড়ক ৯ কিঃ মিঃ, নেকমরদ হতে কাদিহাট বটতলী পাকা রাম্তা ৫ কিঃ মিঃ এবং বটতলী হতে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে জগদল রাজবাড়ি কাঁচা রাস্তা ৬ কি: মি:
অবস্থান : ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নাগর ও তীরনই নদীর মিলনস্থলে এবং জগদল বি.ও.পি ক্যাম্প সংলগ্ন বীরেন্দ্র নাথ চৌধুরীর পরিত্যাক্ত রাজবাড়িটি অবস্থিত।

৩.         নাম : রামরাই (রাণীসাগর)
কিভাবে যাওয়া যায় : ঢাকা থেকে বাস যোগে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় আসতে হবে। তারপরে বাস,ট্রাক,মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল,ভ্যান ও রিক্সা যোগে আসা যায়। ভ্যান ও রিক্সা ভারা (১৫-২০)টাকা।
অবস্থান : উপজেলা সদর থেকে ৪ কিঃ মিঃ দূরত্ব উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘী।

৪.          নাম : খুনিয়া দিঘী স্মৃতি সৌধ
কিভাবে যাওয়া যায় : ঢাকা থেকে বাস যোগে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় আসতে হাবে। তারপরে বাস,মাইক্রোবাস,মটরসাইকেল,ভ্যান-রিক্সা ইত্যাদিযোগে যাওয়া যায়।
অবস্থান : উপজেলা সদর থেকে মাএ সিকি মাইল দক্ষিণে পাকা রাস্তার সংলগ্ন খুনিয়া দিঘী।হোসেনগাও ইউনিয়ন পরিষদ পুরাতন অফিস সংলগ্ন।

৫.          নাম : রাণীশংকৈল (রাজা টংকনাথের) জমিদার বাড়ী
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রাণীশংকৈল উপজেলা সদর থেকে ১ কি:মি: দূরে অবস্থিত।

৬.         নাম : হরিপুর জমিদার বাড়ী
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত।

৭.          নাম : রাণী সাগর
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রাণীশংকৈল উপজেলা সদর থেকে ৪ কি:মি: দূরে অবস্থিত।

৮.         নাম : গোরক্ষনাথ মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে অবস্থিত।

৯.         নাম : রাজভিটা
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের হাটপাড়া নামক স্থানে অবস্থিত।

১০.        নাম : রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলার পূর্বপ্রান্তে কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত।

১১.        নাম : হরিপুর রাজবাড়ি
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত

১২.        নাম : জগদল রাজবাড়ি
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে জগদল নামক স্থানে অবস্থিত

১৩.       নাম : মহালবাড়ি মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলা হতে উত্তরে মীরডাঙ্গী থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত

১৪.        নাম : জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জ হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত

১৫.        নাম : শালবাড়ি মসজিদ ও ইমামবাড়া
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও উপজেলার পশ্চিমে ভাউলারহাটের নিকটে শালবনে অবস্থিত

১৬.       নাম : সনগাঁ শাহী মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ হাট থেকে দু কিলোমিটার উত্তরে সনগাঁ নামক গ্রামে অবস্থিত

১৭.        নাম : মেদিনীসাগর জামে মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলার উত্তরে মেদিনীসাগর গ্রামে মেদিনীসাগর জামে মসজিদটি অবস্থিত

১৮.       নাম : গেদুড়া মসজিদ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নে অবস্থিত

১৯.        নাম : গোরক্ষনাথ মন্দির কূপ ও শিলালিপি
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে গোরকুই নামের একটি গ্রামে অবস্থিত

২০.        নাম : হরিণমারী শিব মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে দশ কিলোমিটার দূরে উত্তর পশ্চিমদিকে হরিণমারী হাটের উপর শিবমন্দিরটি অবস্থিত

২১.        নাম : রিপুর রাজবাড়ি শিব মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে ছোট তরফের রাজবাড়ির সামনে অবস্থিত

২২.        নাম : গোবিন্দনগর মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও শহরে টাঙ্গন নদীর পশ্চিম তীরে কলেজপাড়ায় গোবিন্দনগর মন্দিরটি অবস্থিত

২৩.        নাম : ঢোলরহাট মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে রুহিয়া যাওয়ার পথে ঢোলরহাট নামক স্থানে অবস্থিত

২৪.        নাম : ভেমটিয়া শিবমন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : পীরগঞ্জ পৌরসভা থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে ভেমটিয়া নামক স্থানে শিব মন্দিরটি অবস্থিত

২৫.        নাম : মালদুয়ার দুর্গ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলা হতে এক কিলোমিটার দক্ষিণে প্রাচীন দুর্গটি অবস্থিত

২৬.        নাম : গড়গ্রাম দুর্গ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলার প্রায় তের মাইল উত্তরে নেকমরদ হাট ও মাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে গড়গ্রামে দুর্গের ধ্বংসাবশেষটি অবস্থিত

২৭.        নাম : বাংলা গড়
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : রানীশংকৈল উপজেলা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার উত্তরে এবং নেকমরদ থেকে প্রায় পাঁচকিলোমিটার পূর্বদিকে কাতিহার-পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এটি অবস্থিত

২৮.       নাম : গড় ভবানীপুর
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : হরিপুর উপজেলা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে ভারতীয় সীমান্তের সন্নিকটে ভাতুরিয়া নামক গ্রামে অবস্থিত

২৯.        নাম : গড়খাঁড়ি দুর্গ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেলতলা গ্রামে গড়খাঁড়ি দুর্গটি অবস্থিত

৩০.       নাম : কোরমখান গড়
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে প্রায় এগার কিলোমিটার উত্তরে টাঙ্গন ব্যারেজ থেকে দু'কিলোমিটার পূর্বে কোরমখান গড় অবস্থিত

৩১.       নাম : সাপটি বুরুজ
কিভাবে যাওয়া যায় :
অবস্থান : ঠাকুরগাঁও উপজেলার ভুল্লীহাট থেকে দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে সাপটি বুরুজ অবস্থিত

৩২.        নাম : বাসনাহার আদর্শ গ্রাম পুকুর
কিভাবে যাওয়া যায় : উপজেলা থেকে বাসে অথবা ভ্যানে
অবস্থান : বাসনাহার আদর্শ গ্রাম ,ওয়ার্ড নং ০৩,লেহেম্বা ইইপ, রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও।

৩৩.       নাম : পীর নাছিরউদ্দীন শাহ্ এর মাজার শরীফ।
কিভাবে যাওয়া যায় : রাণীশংকৈল উপজেলা হইতে উত্তরে হাইওয়ে রাস্তা ১০কি:মি: পরে নেকমরদ । রাণীশংকৈল হতে বাস, অটোরিক্সা যোগে নেকমরদ যাওয়া যায়। নেকমরদ চৌরাস্তার পূর্বে মাজার শরীফটির অবস্থান।
অবস্থান : নেকমরদ চৌরাস্তার পূর্ব পার্শে মাজার শরীফটির অবস্থান।

৩৪.       নাম : বাংলাগড়
কিভাবে যাওয়া যায় : ঠাকুরগাও জেলা হতে পশ্চিমে ৪০কি:মি: পাকা রাস্তা রাণীশংকৈল উপজেলা, আবার রাণীশংকৈল উপজেলা হতে উত্তরে নেকমরদ ১০কি:মি:, নেকমরদ হতে বাংলাগড় ৭কি:মি: পুবে।
অবস্থান : গ্রাম:বাংলাগড়, ডাক:বাংলাগড়, উপজেলা:রাণীশংকৈল, জেলা:ঠাকুরগাঁও

৩৫.       নাম : গোরকই মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় : রাণীশংকৈল উপজেলা হইতে উত্তরে হাইওয়ে রাস্তা ৮কি:মি: কুমোড়গঞ্জ মোড়। কুমোড়গঞ্জ মোড় হতে পশ্চিমে কাঁচা রাস্তায় ৪কি:মি: দূরে গোরকই মন্দিরের অবস্থান।
অবস্থান : নেকমরদ ইউপির ৯নং ওয়ার্ডে গোরকই গ্রামে মন্দিরটির অবস্থান।

৩৬.       নাম : ছোট রাণীদিঘী
কিভাবে যাওয়া যায় : রাণীশংকৈল থেকে ভ্যান , সাইকেল, পায়ে হেটে যাওয়া যায়।
অবস্থান : রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের শিয়াল ডাঙ্গীতে অবস্থিত

৩৭.       নাম : রাজভিটা
কিভাবে যাওয়া যায় : জাবরহাট বাজার হতে বাসে অথবা ভেনে অথবা যে কোন যানবাহানে অতি সহজে রাজভিটা যাওয়া যায় । অবস্থান হাটপাড়া ইউনিয়ন জাবরহাট ।
অবস্থান : অবস্থান হাটপাড়া ইউনিয়ন জাবরহাট ।

৩৮.       নাম : শ্রী শ্রী গঙ্গা স্নান মন্দির
কিভাবে যাওয়া যায় : জাবরহাট বাজার হতে পায়ে হাটে অথবা ভেনে অথবা গাড়িতে করে যাওয়া যায় ।
অবস্থান : জাবরহাট গ্রামের খাড়িপাড়া সংল্গন্ন

৩৯.       নাম : রনশিয়া চন্দ্রা ও দানাজপুর বর্ডার
কিভাবে যাওয়া যায় : বিশ্ব রোডের পার্শ্বেই সুতরাং যে কোন পরিবহনে যাওয়া যায় ।জাবরহা ইউ.পি. ভবন হতে ৭ কি,মি পশ্চিমে রনশিয়া চন্দ্রা দানাজপুর বর্ডার অবস্থিত ।এই স্থানটি রনশিয়া গ্রামেই অবস্থিত ।
অবস্থান : বিশ্ব রোডের পার্শ্বেই সুতরাং যে কোন পরিবহনে যাওয়া যায় ।জাবরহা ইউ.পি. ভবন হতে ৭ কি,মি পশ্চিমে রনশিয়া চন্দ্রা দানাজপুর বর্ডার অবস্থিত ।এই স্থানটি রনশিয়া গ্রামেই অবস্থিত ।

যোগাযোগ ব্যবস্থা :
ট্রেন :
বাস : ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসতে হলে মহাসড়ক পথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর এবং দিনাজপুর জেলা হয়ে আসতে হয়। ৭টি বিলাসবহুল পরিবহনের গাড়ী ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে চলাচল করছে। কয়েকটি উপজেলা হতে ঢাকায় সরাসরি যাওয়ার জন্য বিলাসবহুল পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদরের সাথে সকল উপজেলার পাকা সড়ক পথে যোগাযোগ রয়েছে।
১. হানিফ এন্টারপ্রাইজ - ভাড়া : ৫৫০-৬০০/- টাকা (ঢাকা - ০১৬৭৩-৯৫২৩৩৩, ঠাকুরগাঁও - ০১৭১৩-২০১৭০৪)
২. নাবিল পরিবহন - ভাড়া : ৫৫০-৬০০/- টাকা (ঢাকা - ০২-৮১২৭৯৪৯, ঠাকুরগাঁও - ০১৭৪২৫৫৪৪২২)
৩. বাবলু এন্টারপ্রাইজ - ভাড়া : ৫৫০-৪০০/- টাকা (ঢাকা - ০১৭১৬-৯৩২১২২, ঠাকুরগাঁও - ০১৭১৪-০৪৬২৯৮)
৪. কেয়া পরিবহন - ভাড়া : ৩৫০-৪০০/- টাকা (ঢাকা - ০১৭১১-১১৮৪০২, ঠাকুরগাঁও - ০১৭১৫-৭১৭৯০৭)

আবাসন : হোটেল সালাম ইন্টার ন্যাশনাল, নর্থ সার্কুলার রোড, ঠাকুরগাঁও (ফোন - ০৫৬১-৫২২৪৬), হোটেল প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল, নর্থ সার্কুলার রোড, ঠাকুরগাঁও (ফোন - ০৫৬১-৫৩৫০৫), হোটেল সাদেক, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও, (ফোন - ০৫৬১-৫২১৯৭), হোটেল/আবাসিক, বন্দর বাজার, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও, (ফোন - ০১৭১৭২১৯৮৪৩), মানব কল্যাণ পরিষদ, মানব কল্যাণ পরিষদ,ঠাকুরগাঁও , (ফোন - (০৫৬১)৫২২২২)।
ঠাকুরগাঁও জেলা


ভাসমান পেয়ারা বাজারের ভ্রমন তথ্য
                              
·         বর্ণনাঃ   বাংলাদেশের ভাসমান পেয়ারা বাজার বসে জলের দেশ বরিশাল এর দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ঝালকাঠী ও স্বরূপকাঠীর বিভিন্ন জায়গায় । এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ভিমরুলি, আটঘর, কুড়িয়ানা বাজার। অনেকে এই ভাসমান বাজার সমুহকে থাইল্যান্ড এর ফ্লোটিং মার্কেট এর সাথে তুলনা করে থাকেন। প্রতিদিন কয়েক হাজার মন পেয়ারা বেচাকিনি হয় এই অঞ্চলে। দূর দুরান্ত থেকে নদীপথে পাইকাররা এসে এখানে পেয়ারা কিনে। এই এলাকায় রয়েছে অসংখ্য পেয়ারার বাগান। চাষিরা সরাসরি বাগান থেকে পেয়ারা পেরে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। প্রতি বছরের জুলাই, আগষ্ঠ, সেপ্টেম্বর এই মৌসুমে কয়েকশ কোটি টাকার পেয়ারা উৎপাদন ও কেনাবেচা হয়।ভিমরুলি হাট খালের একটি মোহনায় বসে। তিনদিক থেকেই এই খালটি খোলা আর প্রশস্ত। ভিমরুলি গ্রামের আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য পেয়ারা বাগান।পেয়ারার মৌসুম শেষ হলে আসে আমড়ার মৌসুম। এ অঞ্চলে আমড়ার ফলনও সর্বত্র। আর সবশেষে আসে সুপারি। একটু কম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ও ব্যস্ত থাকে এই হাট। ফল ছাড়াও এখানের প্রধান পণ্য বিভিন্ন রকম সবজি। একটি ভাসমান বাজার ভ্রমনের জন্য এখন অনেক পর্যটক ই ছুটে বেড়ান ভিমরুলি ঘুরতে।



·         কিভাবে যাবেনঃ   ঢাকা থেকে সড়ক ও নৌ পথ দুই ভাবেই যাওয়া যায়। সড়ক পথে ঢাকার গাবতলি থেকে বরিশাল এর বাস ছাড়ে ভাড়া ৪০০ টাকা। এছাড়া আপনি মাওয়া যেয়ে লঞ্চে বা স্পীড বোটে ওপাড়ে যেয়ে বিআরটিসি বাসে করে বরিশাল যেতে পারবেন। বরিশাল এর নতুল্লাবাদ থেকে বাসে অথবা সি এন জি করে যেতে হবে বানারিপাড়া। সি এন জি তে ভাড়া নিবে ৪০/৫০ টাকা। তারপর সেখান থেকে নসিমনে ১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে যাবেন কুড়িয়ানা। একটু হেটে একটা ব্রীজ পাড় হয়ে আবার অটো করে ৫ টাকা ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন আটঘর ও কুড়িয়ানা বাজারে।আর ভিমরুলি যেতে চাইলে বানারিপাড়া থেকে নৌকা বা ট্রলারে যাওয়াই ভালো।
                            অথবা নৌ পথে ঢাকার সদরঘাট ঠেকে প্রতিদিন পিরোজপুর/বরিশাল এর লঞ্চ ও ষ্টীমার ছাড়ে বিকেল ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত।ডেকের ভাড়া ২০০/২৫০ টাকা আর কেবিন সিঙ্গেল ৭০০/১০০ এবং ডাবল ১৫০০/২০০০ টাকা। আপনি পিরোজপুরের হুলার হাট নেমে চলে যাবেন বানারিপারা। বানারিপারা থেকে উপড়ে উল্লেখিত নিয়মে যেতে পারেন অথবা এখান থেকেই ট্রলার রিসারভ করে নিতে পারেন। ভিমরুলি,আটঘর ,কুড়িয়ানা সহ আরো অনেক ছোট বাজার ও বাগান ঘুড়িয়ে আনার জন্য ৫০০-৭০০ টাকা ভাড়া নিবে ছোট ট্রলারে আর বড় ট্রলার ১২০০-১৫০০ টাকা। অবশ্যই দামাদামী করে ভাড়া ঠিক করবেন।




·         কখন যাবেনঃ   জুলাই থেকে আগস্ট মাস এর প্রতিদিন ই জমে এই মেলা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে।


·         কোথায় থাকবেনঃ আপনি দিনে যেয়ে দিনেও ফিরে আসতে পারেন।আর রাত্রি যাপন করতে চাইলে বরিশাল নতুল্লাবাদ চলে আসতে পারেন। অথবা ঝালকাঠি   শহরের দু একটি হোটেল হল  কালিবাড়ি রোডে ‘ধানসিঁড়ি রেস্ট হাউস,  বাতাসা পট্টিতে আরাফাত বোর্ডিং, সদর রোডে  হালিমা বোর্ডিং  ইত্যাদি। ভাড়া ১০০  থেকে ২৫০ টাকা।


·         কোথায় খাবেনঃ ভিমরুল,আটঘর,কুড়িয়ানা এসব বাজারের পাশেই খাবারের হোটেল আছে মোটামুটি মানের।অথবা জেলা সদরে ফিরে এসেও খাওয়া দাওয়া সেড়ে নিতে পারেন।

·         আশেপাশের দর্শনীয় স্থানঃ ভাসমান পেয়ারা বাজার ভ্রমন এর পাশাপাশি বরিশালের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ গুঠিয়া মসজিদ ঘুরে আসতে পারেন ও সাথে দুর্গা সাগর দিঘী। বানারিপারা থেকে বরিশাল আসার পথে সড়কের পাশেই অবস্থিত এই দুটি স্থান।

·         টিপসঃ

১) গ্রুপ করে গেলে ভাল ।
২) নৌপথে যাওয়াই ভালো সড়ক পথ থেকে।
৩) রেইন কোট , ছাতা নিয়ে যাবেন।
৪) বাগানে ঢুকে পেয়ারা ছিড়বেন না।
৫) আমাদের প্রকৃতি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের তাই   কোন চিপ্স,চানাচুর বা পানির বোতল নদীতে ফেলবেন না।


·         বিঃদ্রঃ আমার মতে সবচেয়ে ভালো পন্থা লঞ্চে বরিশাল গিয়ে সি এন জি করে আটঘর,কুড়িয়ানা বাজার ঘুরুন। আর যারা পেয়ারা নিয়ে আসে তাদের কারো সাথে একটু কথা বলে ২০০/২৫০ টাকা কন্টাকে বলুন আপনাকে আশপাশ ও পেয়ারা বাগান ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে। যেটা করার জন্য ট্রলারে খরচ অনেক বেশি। তবে হা এই ভাবে করলে আপনি ভিমরুলি ঘুরতে পারবেন না। এটা একান্তই আমার নিজস্ব ভাবনা কম খরচে বাজার ও বাগান ঘুরার। আটঘর,কুড়িয়ানা বাজার ও কিন্তু মোটামুটি বেশ বড়।


ঈদের ছুটিতে যারা রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন তাদের জন্য কয়েকটি টিপস।
১। খাবার সংক্রান্তঃখাবারের পূর্বেই প্রাইস জেনে নিবেন। দেশী মুরগীর অর্ডার দিলে নিশ্চিত থাকুন কক মুরগী গুছিয়ে দিবে। কাপ্তাই লেকের কাচকি ভূনা বা ফ্রাই কিন্তু মিস করবেন না।  রাঙ্গামাটির অনেক হোটেলেই আতপ চালের ভাত রান্না হয়। চট্টগ্রাম ছাড়া অন্য অঞ্চলের লোকদের জন্য তা ভাল নাও লাগতে পারে। তাই আগেই জেনে নিবেন চাল কি সিদ্ধ নাকি আতপ।  ভাল মানের খাবার হোটেল সমুহঃ বনরূপা এলাকা- কুটুমবাড়ি, হোটেল মক্কা; কাঠালতলী এলাকা- হোটেল হিল জামান। এসব হোটেলে সেদ্ধ চালের ভাত রান্না হয় তাই জিজ্ঞেস করার দরকার নেই।এক বেলা খাবারের মূল্য ১২০ থেকে ২০০ টাকা এর মতো পড়বে। পাহাড়ি ধাচের খাবার খেতে চাইলে শহরে-  সাবারাং রেস্তোরা ও হোটেল ক্যাবাং।  অনেকেই ক্যাবাং, বেম্বু চিকেন ইত্যাদি পাহাড়ি ধাচের খাবারের মুল্য জানতে চান।  কাপ্তাই লেকে দ্বীপ রেস্তোরা জুমঘর রেস্তরার এ ধরনের খাবারের মূল্য তালিকা দিয়ে দিচ্ছি। পেদাটিংটিং, চাংপাং রেস্তোরাতেও খাবারের মুল্য প্রাই একই হবে।এসব রেস্তোরায় খাবারের মূল্য একটু বেশি তবে খাবারের পরিবেশটা অসাধারন।
·         ভাত এক প্লেট ২জন অন্যান্য খাবার এক প্লেট চারজন খেতে পারবেন।প্লেট প্রতি মূল্যঃ
ভাত- ৬০ টাকা, পাজন-১৫০ টাকা, বেম্বো চিকেন-৩০০ টাকা, চাপিলা ফ্রাই/ভর্তা/কাচকি ফ্রাই/ভর্তা-২০০ টাকা, মাছের কেবাং-৩০০ টাকা, ডিম কেবাং-১৫০ টাকা, কলা মোচার ভর্তা-১৫০ টাকা, মাশরুম-৩০০ টাকা,  ডাল-৯০ টাকা।

২। বাস সংক্রান্তঃঢাকার ফকিরাপুল, আরামবাগ, সায়দাবাদে রাঙ্গামাটির বাস কাউন্টারগুলো অবস্থিত। আর চট্টগ্রামে দয়ামপাড়া হতে বিআরটিসি এবং অক্সেজেন হতে অন্যান্য বাস ছাড়ে। ঢাকা হতে ননএসি বাস ভাড়া ৬২০ টাকা। এসি ২ টি বাস ছাড়ে। শ্যামলি ৯০০ ভাড়া টাকা, এবং বিআরটিসি ৭০০ টাকা।চট্টগ্রাম হতে ভাড়া ১২০ টাকা। চট্টগ্রাম হতে পাহাড়িকা বা বিআরটিসিতে রাঙ্গামাটি আসবেন অন্য বাসগুলোর সার্ভিস মানসম্মত নয়।সমস্যা হলো ফিরতি টিকেট নিয়ে। ঈদের পর রাঙ্গামাটি হতে ঢাকার টিকেট পাওয়া কঠিন হবে। পরিচিত কেউ থাকলে আগেই টিকেট কেটে ফেলবেন।

৩। কাপ্তাই লেকে নৌভ্রমনঃরাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার লঞ্চ ঘাট, পর্যটন(ঝুলন্ত ব্রিজ), কাঠালতলীর ফিশারী এলাকা, তবলছড়ি নৌঘাট হতে লেকে ঘুরার জন্য বোট পাবেন।বোটে ঝুলন্ত ব্রিজ, শুভলং ঝর্ণা, রাজবাড়ি, রাজবন বিহার ঘুরে আসবেন। বোট ভাড়া নৌকার আকারের ভেদে ১৫০০ হতে ২৫০০ টাকা। ঈদ ছাড়া অন্য সময় ১২০০ টাকায়ও বোট পাওয়া যায়। এসব বোটে ইঞ্জিনের প্রচন্ড শব্দ মাথা খারাপ করে দেয়। বোটের ছাদে বসার ভাল ব্যবস্থা থাকলে সেখানেই বসুন, শব্দ কম হবে। তাছাড়া পর্যটনের ফাইবার বোটগুলোতে শব্দ তুলনামুলক কম তবে ভাড়াও একটু বেশি।বোটে অবশ্যই পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট নিয়ে উঠবেন এবং লাইফ জ্যাকেট হাতের কাছে রাখবেন। ঝড়-বৃষ্টিতে লেকের কোথাও কোথাও পানি প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠে এবং অনেক সময়েই নৌকা ডুবি ঘটে। ঝড় হলে নৌকা ভ্রমন না করাই ভাল।

৪। শুভলং ঝর্নাঃশুভলং ঝর্ণা সারা দেশে সুপরিচিত। বোটে গেলে শুভলং ঝর্ণার একটু আগে বামে একটি ঝর্ণা পড়বে। ঝর্ণাটি সুপরিচিত নয় এবং বোট চলাচলের পথে দেখা যায়না কিন্তূ মূল শুভলং ঝর্ণা অপেক্ষা এই ঝর্ণাটিতেই পানি বেশি থাকে।বোটম্যানকে আগেই বলে রাখবেন এই ঝর্ণাটিতে আপনাকে নিয়ে যেতে। শুভলং বাজার বা আর্মি ক্যাম্পে যেতে চাইলে বোট কন্তাক্টের সময়ই বলে রাখবেন। না হলে পরে ভাড়া নিয়ে ঝামেলা হবে। প্রথমে বললে একই ভাড়ায় হয়ে যাবে। 

৫। কাপ্তাই উপজেলায় ভ্রমনঃরাঙ্গামাটি গেলে একদিন সময় কাপ্তাই উপজেলার জন্য বরাদ্দ রাখুন। রাঙ্গামাতি-কাপ্তাই নতুন রাস্তা, ঝুম রেস্তোরা, কার্ণফুলীতে নৌবিহার, চিৎমরমে তাওয়ার সবই অসাধারন। রাঙ্গামাটি হতে বাসে কম খরচে কাপ্তাই এর বড়ইছড়ি যেতে পারেন। কিন্তু সিএনজি বা জীপ/মাইক্র রিজার্ভ করলে রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই নতুন রাস্তা দিয়ে ভ্রমন করতে পারবেন। রাস্তাটি অসাধারন, একপাশে লেক অন্য পাশে পাহাড়। সিএনজি আপ-ডাউন সহ সারাদিনের জন্য রিজার্ভ নিলে ১৫০০ টাকা ভাড়া পড়বে। জীপ/মাইক্র এসি ৩৫০০-৪০০০ টাকা, নন এসি ৩০০০-৩৫০০ টাকা।