Wednesday, July 6, 2016

রেমা ও কালেঙ্গাঃ
রেমা ও কালেঙ্গা দুটি আলাদা আলাদা জঙ্গল হলেও একই রেঞ্জের অধীনে হওয়াতেই মূলত নামকরণ হয়েছে রেমা ও কালেঙ্গা ।সুন্দরবনের পরে আয়তন এবং প্রাচীনতার দিক থেকে রেমা কালেঙ্গার অবস্থান দ্বিতীয়। রেমা–কালেঙ্গা অভয়ারণ্য বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রানীর অভয়ারণ্য। এটি একটি শুকনো ও চিরহরিৎ বন এবং সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বনভূমি। এছাড়াও এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্যে দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় এর অবস্থান। রেমা–কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে এটির আরো সম্প্রসারণ করা হয়। বর্তমানে এই অভয়ারণ্যের আয়তন ১৭৯৫.৫৪ হেক্টর। বাংলাদেশের যে কয়েকটি প্রাকৃতিক বনভূমি এখনো মোটামু্টি ভাল অবস্থায় টিকে আছে, রেমা-কালেঙ্গা তার মধ্যে অন্যতম। তবে নির্বিচারে গাছ চুরি ও বন ধ্বংসের কারণে এ বনভূমির অস্তিত্বও বর্তমানে হুমকির মুখে।এটি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার খুব কাছে এবং ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত সংলগ্ন। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়র পথে এর দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। রেমা–কালেঙ্গা অভয়ারণ্য বিরল প্রজাতির জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। বর্তমানে এই বনে ৩৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৬৭ প্রজাতির পাখি, সাত প্রজাতির উভচর, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৬৩৮ প্রজাতির গাছপালা-লতাগুল্ম পাওয়া যায়। বিভিন্ন বিরল প্রজাতির পাখির জন্য এই বন সুপরিচিত এবং এদের মধ্যে রয়েছে — ভীমরাজ, টিয়া, হিল ময়না, লাল মাথা কুচকুচি, সিপাহি বুলবুল, বসন্তবৌরি, শকুন, মথুরা, বনমোরগ, পেঁচা, মাছরাঙা, ঈগল, চিল প্রভৃতি। এই বনে তিন প্রজাতির বানরের বাস, এগুলো হল: কুলু, রেসাস ও নিশাচর লজ্জাবতী বানর। তাছাড়া এখানে পাঁচ প্রজাতির কাঠবিড়ালি দেখা যায়। এর মধ্যে বিরল প্রজাতির মালয়ান বড় কাঠবিড়ালি একমাত্র এ বনেই পাওয়া যায়। বন্যপ্রানীর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য আরও রয়েছে মুখপোড়া হনুমান, চশমা হনুমান, উল্লুক, মায়া হরিণ, মেছোবাঘ, বন্যশুকর, গন্ধগোকুল, বেজি, সজারু ইত্যাদি। কোবরা, দুধরাজ, দাঁড়াশ, লাউডগা প্রভৃতি সহ এ বনে আঠারো প্রজাতির সাপের দেখা পাওয়া যায়। বিট সংখ্যাঃ রেমা কালেঙ্গা তে মোট ৪ টি বিট আছে, =>রেমা বিট =>কালেঙ্গা বিট =>ছনবাড়ি বিট =>রশিদপুর বিট। এর মধ্যে শুধু কালেঙ্গা বীটেই ২৭ টি ট্রেইল আছে। পর্যটকদের জন্য আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা এবং তিন ঘণ্টার হাঁটার ট্রেইল আছে। তবে সবচেয়ে বড় হচ্ছে কালেঙ্গা থেকে রেমা বিটের ট্রেইলটি। জঙ্গলের মধ্যে একটি বড় ওয়াচ টাওয়ার আছে, যেখান থেকে পুরো এলাকার অনেকখানি জায়গা দেখা যায়।
সূত্রঃ #Rema_Kalenga
গাইড রহিম ভাই খেতামারা ট্রেইল নামে আমাদের একটা ৬ ঘণ্টার ট্রেইলে নিয়ে গিয়েছিলো যেখানে দিনের বেলাও অন্ধকার থাকে ।এই ট্রেইলে মূলত শকুনের আবাস স্থল বলে সব সময় যাওয়ার অনুমতি মেলে না এবং এই ট্রেইলে হরিণ এবং অন্যন্য পশুপাখি দেখা যায় ।
যেভাবে যেতে পারেনঃ ঢাকা থেকেঃ বাসে অথবা সিলেটগামী ট্রেনে চার ঘন্টা গেলেই শায়েস্তা গঞ্জ জংশন। এখান থেকে সরাসরি সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে কালেঙ্গা রেঞ্জ চলে আসা যায়, ভারা ৪০০ টাকা। অথবা স্টেশনে নেমে মেক্সি-সিএনজিতে চুনারু ঘাট। ভাড়া জন প্রতি বিশ/ত্রিশ টাকা।এখান থেকে আরো আধা ঘন্টার মধ্যে সিএনজিতে পৌছে যাওয়া যাবে কালেঙ্গা রেঞ্জে। শ্রীমঙ্গল থেকেঃ থেকে সরাসরি সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে কালেঙ্গা রেঞ্জ চলে আসা যায়, ভারা ৬০০/৭০০ টাকা। এ খেত্রে আপনাকে চুনারুঘাট আসতে হবে না । মিরপুর এবং নতুনবাজার হয়ে সি,এন,জি সোজা কালেঙ্গা চলে আসবে । সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা।
ভ্রমণ পরামর্ষঃ
শুধু কেলেঙ্গা ঘুরতে চাইলেই আপনি ৭/৮ দিন বিভিন্ন্য ট্রেইলে সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন । ক্যাম্পিং এর অনুমতি নিয়ে আপনি বিশেষ কিছু স্থানে ক্যাম্প ও করতে পারেন অথবা কালেঙ্গা থাকার জন্য একটি ছোট হোটেল আছে । ৩ রুমের টোটাল ভারা পড়ে ২৭০০ টাকা। এক রুম ১০০০ টাকা । খাবার খরচ ডাল+মুরগি+সব্জি+ভাত =২২০ টাকা । যোগাযোগঃ আশু ভাইঃ ০১৭৩১৯৭৭৮০৭ ।
এছাড়াও গাইডের সাথে যোগাযোগ করে সাশ্রয়ী মুল্যে খাবার ব্যাবস্থা করতে পারেন । গাইড আব্রদুর রহিমঃ ০১৭৪১১৪৪১৭৪ ( আমাদের চিনে রেফারেন্স দিতে পারেন সমস্যা নাই) ।ভাল একজন গাইড নিয়ে নেবেন সাথে ।অযথা কথাবার্তা না বলে চুপচাপ হাটতে থাকবেন তাহলে অনেক কিছুই চোখে পরবে।৩০০ প্রাইম লেন্স এবং ছোট টর্চ থাকলে সাথে নিতে ভুলবেন না


No comments:

Post a Comment